চাকরি না পেয়ে টাকা ফেরত চাইলে চাকরিপ্রার্থী এমনকী এজেন্টদেরও গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতেন তিনি। সিবিআইয়ের প্রকাশ করা জীবনকৃষ্ণের হোয়াটসআ্যাপ চ্যাটে দিন কয়েক আগেই প্রকাশ্যে এসেছে এই তথ্য। যদিও নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার হওয়া তৃণমূল বিধায়কের দাবি এই দাবি ঠিক নয়। শুক্রবার আদালতে পেশের সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে অভিযোগ অস্বীকার করেন তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণ সাহা।
এদিন সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জীবনকৃষ্ণের সংক্ষিপ্ত উত্তর, এই অভিযোগ ২০১৬ সালের, তখন কি আমি বিধায়ক ছিলাম? যদিও সিবিআইয়ের প্রকাশ করা তথ্য বলছে অন্য কথা।
মঙ্গলবার জীবনকৃষ্ণের ২টি চ্যাট হিস্ট্রি প্রকাশ্যে আনে সিবিআই। তদন্তকারী সংস্থার তরফে জানানো হয় চ্যাট ২টি গত অক্টোবরের। তাতে জীবনকৃষ্ণকে চাকরি না পাওয়ায় টাকা ফেরত চাইলে পুলিশে গ্রেফতার করিয়ে দেওয়ার হুমকি দিতে দেখা যায়। চ্যাটে জীবনকৃষ্ণ নিজেই স্বীকার করেছেন চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষ লক্ষ টাকা তুলেছেন তিনি। সঙ্গে এ-ও দাবি করেন, লেনদেনের ব্যাপারে পুলিশ সবই জানে। এদিন যদিও জীবনকৃষ্ণ দাবি করেন, অভিযোগ ২০১৬ সালের। তখন তিনি বিধায়ক পদে ছিলেন না। গত এপ্রিলে বড়ঞার তৃণমূল বিধায়ক জীবনকৃষ্ণকে গ্রেফতার করেন তদন্তকারীরা।