যারা হোক কলরব আন্দোলনের বিরোধী ছিল তারাই যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে ছাত্রমৃত্যুর ঘটনার অভিযুক্ত। অথচ এই ঘটনাকে হাতিয়ার করে পরিকল্পনামাফিক বিশ্ববিদ্যালয়ের বামমনস্ক ছাত্রদের দায়ী করা হচ্ছে। হিন্দুস্তান টাইমসকে একথা জানালেন রাজ্যসভায় বাম সাংসদ বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য। হস্টেলে ছাত্রের রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় সরাসরি রাজ্যে শিক্ষাক্ষেত্রে নৈরাজ্যকে দায়ী করেছেন তিনি।
সোমবার টেলিফোনে বিকাশবাবু জানান, এই ঘটনা অত্যন্ত নিন্দনীয়। যারা এই ব়্যাগিং সংস্কৃতির ধারক ও বাহক তাদের কড়া শাস্তি হওয়া দরকার। এদের জন্য বহু মেধাবী ছাত্রকে পড়াশুনো মাঝরাস্তায় বন্ধ করে বাড়ি ফিরে যেতে হয়। তিনি বলেন, যাদবপুরের ঘটনায় যারা গ্রেফতার হয়েছে তারা সবাই বাম বিরোধী ছাত্র সংগঠনের সদস্য। এরা সবাই SFI বিরোধী। তাও পরিকল্পনা করে কিছু মানুষ বামপন্থীদের এর জন্য দায়ী করছে। বামপন্থীরা বরাবর ব়্যাগিং বিরোধী।
বিশ্ববিদ্যালয়ে রেজিস্ট্রারের অনুপস্থিতি নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। বুধবার রাতের ওই ঘটনার পর সোমবার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়ে আসেন রেজিস্ট্রার স্নেহমঞ্জু বসু। বিশ্ববিদ্যালয়ে ঢুকেই সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘শারীরিক অসুস্থতার জন্য চিকিৎসকের পরামর্শে ফোন বন্ধ করে বিশ্রামে ছিলাম।’ বিকাশবাবুর প্রশ্ন, উনি শাসকদলের বৈঠকে যেতে পারেন কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারেন না।
প্রবীণ এই আইনজীবীর মতে বিশ্ববিদ্যালয়ের হস্টেলে প্রথম বর্ষের ছাত্রের মৃত্যুর জন্য দায়ী শিক্ষাক্ষেত্রে অরাজকতা। তিনি বলেন, শিক্ষাক্ষেত্রে বর্তমান সরকার যে নৈরাজ্য ডেকে এনেছে তার ফলে আমরা একজন সম্ভাবনাময় তরুণকে হারালাম। রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোয় অরাজকতা চলছে। বিশ্ববিদ্যালগুলোকে টাকা দেয় না সরকার। যাদবপুরে তো উপাচার্যই নেই। দিনের পর দিন এই অরাজকতার ফলে ব়্যাগিংয়ের মতো অপসংস্কৃতি আরও শিকড় গেড়েছে। বিকাশবাবুর আক্ষেপ, যাদবপুরকে উৎকর্ষ প্রতিষ্ঠান ঘোষণার জন্য সংসদে লড়াই করছিলাম। সব চেষ্টা জলে গেল।