যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মৃত্যুতে ৪ জন বর্তমান পড়ুয়াকে আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করল বিশ্ববিদ্যালয়ের অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি। ২৫ জন প্রাক্তন পড়ুয়াকে হস্টেল থেকে বের করে দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। হস্টেল সুপারের ভূমিকা খতিয়ে দেখে প্রয়োজনে শাস্তি দেওয়ার সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।পাশাপাশি অরিত্র ওরফে ‘আলু’র একসঙ্গে একাধিক সই কী করে করল তাও খতিয়ে দেখতে সুপারিশ করা হয়েছে কর্তৃপক্ষকে। এ ছাড়া র্যাগিংয়ে প্রত্যেক ছাত্রের বিরুদ্ধে এফআইআর করতে বলেছে তদন্ত কমিটি।
ছাত্রের রহস্য মৃত্যুর পর একটি অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি করার নির্দেশ দেন সহ উপাচার্য। এর আগে তদন্ত কমিটি একটি প্রাথমিক রিপোর্ট জমা করেছিল। প্রায় একমাসের মাথায় রিপোর্ট জমা দিল কমিটি।
রিপোর্টে নির্দিষ্ট করে চারজন পড়ুয়াকে আজীবন বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়েছে। ২৫ জন প্রাক্তনীকে হস্টেল থেকে বার করে দিতে বলা হয়েছে। ঘটনাচক্রে এদিনই কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম ২৪ ঘণ্টার মধ্যে প্রাক্তনীদের বার করে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
ঘটনার পর হস্টেল সুপারের ভূমিকা প্রশ্নের মুখে পড়ে। তাঁকে ফোন করা হলেও তিনি মেন হস্টেলে যাননি বলে অভিযোগ। তাঁর কর্তব্যে গাফিলতি রয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখে তাঁর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে।
এই ঘটনার ছাত্রনেতা অরিত্র মজুমদারের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন ওঠে। তিনি দাবি করেন, ঘটনার সময় তিনি কাশ্মীরে ছিলেন, ট্রেকিং করতে। ঘটনার দিন তিনি হস্টেলেই যাননি। কিন্তু দেখা যায় রেজিস্ট্রারের খাতাতে ১১ তারিখ 'হাজির' রয়েছেন। সে সময় তিনি কাশ্মীরে থাকলে কী করে তিনি রেজিস্ট্রারে সই করলেন সেই প্রশ্ন ওঠে। অরিত্র দাবি করেন, তিনি ভুল করে একসঙ্গে তিনদিনের সই করে ফেলেছেন। কী করে তা সম্ভব হল তাও খতিয়ে দেখতে বলেছে কমিটি।
সূত্রের খবর, অভ্যন্তরীণ তদন্ত কমিটি ১৪০ জনের বয়ান রেকর্ড করেছে। ক্যামেরাবন্দি করা হয় বয়ান। উত্তর নেওয়া হয় লিখিত আকারে। তার ভিত্তিতেই এই পূর্ণাঙ্গ রিপোর্ট দিয়েছে তদন্ত কমিটি।