লোকাল ট্রেনে আপনি বসে আছেন। দেখলেন জানালার ঠিক ওপরেই একের পর এক লিফলেট সাঁটা রয়েছে। কোথাও রয়েছে সহজে নেশা ছাড়ানোর উপায়। কোথাও আবার লেখা হয়েছে, বন্ধু পাতাতে চান? তাবিজ, মাদুলি, বশীকরণ তো রয়েছেই।
তবে এবার ওই বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে রেল। বলা ভালো নড়েচড়ে বসছে রেলকর্তৃপক্ষ। যে বা যারা এই ধরনের বিজ্ঞাপন দেয় তাদের বিরুদ্ধে এবার কঠোরতম ব্যবস্থা নেওয়ার কথা ঘোষণা করা হচ্ছে। পূর্ব রেলের তরফে এব্যাপারে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, লোকাল ট্রেনের মধ্য়ে কুরুচিকর যে সমস্ত বিজ্ঞাপন যেখানে সেখানে সাঁটা হচ্ছে সেগুলি ট্রেন যাত্রীরা পছন্দ করেন না। এটা রেলওয়ে আইনবিরুদ্ধ। এই ধরনের বিজ্ঞাপনগুলি ট্রেনের ভেতরে লাগানো হলে রেল এবার যথাযথ ব্যবস্থা নেবে।
সেই সঙ্গেই রেলের তরফে অনুরোধ করা হয়েছে এই ধরনের বিজ্ঞাপন রেলের কামরায় দেখতে পেলে বা কামরার মধ্যে কেউ এই ধরনের বিজ্ঞাপন দিচ্ছেন এটা দেখতে পেলেই আরপিএফকে জানাতে পারেন। তাহলে রেল তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।
তবে সাধারণ যাত্রীদের দাবি, প্লাটফর্মের শৌচাগারে নানা ধরনের পোস্টার সাঁটা থাকে। আবার সেই পোস্টারই মাঝেমধ্য়ে চলে আসে রেলের কামরায়। কিন্তু তারা ঠিক কখন কামরায় এগুলি লাগান সেটা কিছুতেই বোঝা যায় না। সেকারণেই এনিয়ে পদক্ষেপ নেওয়াটা জরুরী। তবে সম্ভবত রাতে যখন ট্রেন দাঁড়িয়ে থাকে তখনই এগুলি লাগানো হয়। তবে বর্তমানে এই প্রবণতা অনেকটাই কমেছে। কিন্তু কিছুক্ষেত্রে এখনও এই প্রবণতা রয়েছে। মানে একে তো গোটা ট্রেনের বাইরে বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনের ছড়াছড়ি। বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপনে মুড়ে ফেলা হয়েছে ট্রেন। আবার ট্রেনের ভেতর ডিসপ্লে বোর্ডেও চলে বিজ্ঞাপন।
তার সঙ্গেই পোস্টারও থাকে কামরার মধ্য়ে। সেক্ষেত্রে এই পোস্টারিং বন্ধ করতে এবার আদা জল খেয়ে ময়দানে নামছে রেল। এনিয়ে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। একাধিক বিজ্ঞাপন রয়েছে যেগুলি রেলে থাকা বাঞ্ছনীয় নয়। সেই বিজ্ঞাপনের বিরুদ্ধেই এবার কড়া হচ্ছে রেল।