কাল একুশে জুলাই। তৃণমূলের মেগা ইভেন্ট। তার আগে বোমা পাঠালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। বৃহস্পতিবার তিনি সিবিআই এর ডিরেক্টরকে email করেছেন বলে দাবি করেছেন। এ নিয়ে শুভেন্দু অধিকারী টুইট করেছেন। শুভেন্দু অধিকারী লিখেছেন, আমি আগেই এ নিয়ে ঘোষণা করেছিলাম, আমি সিবিআই ডিরেক্টর কে একটি ইমেইল করেছি। একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নথি সারদা সংক্রান্ত ব্যাপারে তার সফট কপি আমি যুক্ত করেছি। এগুলিকে প্রামাণ্য হিসাবে গন্য করা যেতে পারে। সেই সঙ্গেই তিনি লিখেছেন। এগুলি চলতি তদন্তে সহায়তা করবে।
‘আমি বিশ্বাস করি ও আশা করি এটা লাখ লাখ গ্রাহক ও সাধারণ মানুষকে যারা সারদা কেলেঙ্কারিতে প্রতারিত হয়েছিলেন তাদের ন্যায় বিচার এনে দেবে।’ লিখেছেন শুভেন্দু অধিকারী।
এদিকে সরাসরি তিনি রাজ্যের মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম এক্ষেত্রে উল্লেখ করেছেন। তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের নাম উল্লেখ করে তিনি লিখেছেন, ‘কুণাল ঘোষ এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। তিনি কাস্টডিতে থাকাকালীন জানিয়েছিলেন, আসল দোষী হল মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। যদি তল্লাশি চালানো হয় তবে গোটা কেলেঙ্কারির কথা সামনে আসবে।’ কুণাল ঘোষ কোর্ট চত্বরে মিডিয়ার সামনে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে নিশানা করতেন বলে দাবি করেছেন শুভেন্দু।
কুণাল ৩৪ মাস জেলে ছিলেন। তিনি এই দাবি করেছিলেন। কিন্তু সিবিআই মমতাকে জেরা করতে কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। এদিকে সিবিআইয়ের এই নিষ্ক্রিয়তার জেরে বঙ্গবাসীর মনে নানা সংশয় তৈরি করেছে। সিবিআই এই মামলার তদন্ত করতে পারবে কি না তানিয়েও বাংলার অনেকের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে।
এমনকী চিটফান্ডের মালিক মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের ছবি অস্বাভাবিক দামে কিনেছিলেন বলেও দাবি করেছেন শুভেন্দু। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই চিটফাণ্ডের সরাসরি বেনিফিসিয়ারি ছিলেন। কিন্তু এতসব কিছু জানার পরেও সিবিআই কিছু করেনি। এবার আপনি এই সব তথ্যে ভিত্তিতে সঠিক রাস্তায় তদন্তকে এগিয়ে নিয়ে যান। বাংলার মানুষের ধৈর্য্যকে সম্মান করুন। বাংলার মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তৃণমূল নেতা কুণাল ঘোষকে জেরা করার দাবিও তিনি চিঠিতে উল্লেখ করেছেন। একটা যুক্তিগ্রাহ্য সিদ্ধান্তে পৌঁছনর জন্য় এটা করা প্রয়োজন বলেও তিনি উল্লেখ করেছেন।
তবে এবার শুভেন্দুর চিঠি পাওয়ার পরে আদৌ সিবিআই কতটা নড়েচড়ে বসে সেটাই দেখার।