সামনেই লোকসভা ভোট। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে চিঠি লিখলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুক্রবার রেড রোডে ধর্নামঞ্চতে বসেই তিনি এই চিঠির কথা উত্থাপন করেছেন। কী আছে সেই চিঠিতে?
মূলত ক্যাগ রিপোর্টকে মিথ্য়ে বলে উল্লেখ করে তিনি এই চিঠি লিখেছেন। সেখানে তিনি লিখেছেন একটা গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারে আপনার মনোযোগ আকর্ষণ করতে চাই। ক্য়াগ রিপোর্টে বলা হচ্ছে ২,২৯,০৯৯ কোটির ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। ২০০২-০৩ থেকে ২০২০-২১ সাল পর্যন্ত এটা দেওয়া হয়নি বলে বলা হচ্ছে।
কিন্তু আমরা যাচাই করে দেখেছি রাজ্য সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগ নির্ধারিত সময়েই ওই সার্টিফিকেট জমা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রকের কাছে। আর এটা আপনি ভালোই জানেন যে সেই সার্টিফিকেট দেখে সন্তুষ্ট হয়েই পরের অনুদান এসেছে। আর সেই অনুমোদন দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে কোনও ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেট দিতে বাকি নেই। কিন্তু এটা খুবই শকিং যে ক্যাগের মতো অফিসের তরফে এমন পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে।
এই ধরনের ভুলে ভরা রিপোর্ট দিলে একটা বিভ্রান্তিকর ছবি তৈরি হবে। আর এটা কিছু মানুষ মিথ্য়ে উদ্দেশ্য নিয়ে সরকারি প্রশাসনের বিরুদ্ধে ব্যবহার করবে। তবুও অডিট রিপোর্ট প্রতি বছর হয়। কিন্তু গত প্রায় ২০ বছর ধরে এই রিপোর্ট কেন দেওয়া হয়নি সেটাই আশ্চর্য লাগছে।
আপনার মনে থাকতে পারে ২০ ডিসেম্বরের মিটিংয়ে এটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে সচিব পর্যায়ে মিটিং হবে ভারত সরকার ও রাজ্য সরকারের মধ্য়ে। বকেয়া নিয়ে সেই মিটিং হওয়ার কথা ছিল। ২৩ জানুয়ারি মিটিং হয়েছিল। সেখানে বকেয়া নিয়ে কথা হয়েছিল। কিন্তু ইউটিলাইজেশন সার্টিফিকেটের ব্যাপারে কিছু বলা হয়নি।
এখানে আপনার হস্তক্ষেপ চাইছি। রাজ্য সরকারের যে ফান্ড সেটা দ্রুত ছাড়ার ব্যবস্থা করুন। এই ধরনের মিথ্য়াচারের মাধ্যমে রাজ্যকে বঞ্চিত করবেন না। আমি আশা করছি ভারত সরকার রাজ্য়ের জন্য় ফান্ড ছাড়া আটকানোর জন্য় একের পর এক প্রসঙ্গ উত্থাপন করবে না। লিখেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়।
সেই সঙ্গেই ক্যাগ রিপোর্টকে কার্যত মিথ্য়ে বলে দাগিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এনিয়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তুলোধোনা করেন মোদী সরকারকে।