গত বুধবারই বিজেপির প্রাথমিক সদস্যপদ ছেড়েছেন নেতাজির প্রপৌত্র চন্দ্র বসু। তাঁকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করা হয়নি বলে তাঁর অভিযোগ। তাই নেতাজির নাতি বিজেপি সংস্রব ত্যাগ করেছেন। তখন থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়, এবার কি তাহলে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ? এই গুঞ্জনের কারণ হল, সুগত বসু তৃণমূল কংগ্রেসেই আছেন। এখান থেকেই তিনি সাংসদ হয়েছিলেন। কিন্তু দেখা গেল রবিবাসরীয় দুপুরে চন্দ্র বসু ফরওয়ার্ড ব্লকের অফিসে হাজির হয়েছেন। ঘুরতে ঘুরতে ফরওয়ার্ড ব্লকের অফিসে যাওয়ার পর থেকে নতুন করে গুঞ্জন শুরু হয়েছে।
তাহলে কি ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ? সূত্রের খবর, আর কয়েকদিনের মধ্যে একাধিক বিজেপি নেতা–কর্মীকে নিয়ে ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ দিতে চলেছেন চন্দ্র বসু। তবে অঙ্ক ঠিক থাকতে হবে। তবেই এই ঘটনা ঘটবে। অঙ্ক বলতে এখানে বিজেপি যে প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি সেটা পূরণ করার কথা দিতে হবে ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্বকে। ফরওয়ার্ড ব্লক নেতৃত্ব জানাচ্ছে, একেবারেই নেতাজির বিষয় নিয়ে কথা হয়েছে চন্দ্র বসুর সঙ্গে। তবে এই কথার পরেও চন্দ্রের সঙ্গে তাদের এই বৈঠক নানা প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে। ফরওয়ার্ড ব্লক তাঁর পুরনো দল। সেখানেই তিনি কি আবার ফিরছেন? সেটা কবে?
কোন অঙ্কে ফরওয়ার্ড ব্লকে যোগ? নেতাজিকে নিয়ে প্রচার করতে চেয়েছিলেন চন্দ্র বসু। তখন তাঁকে বিজেপি কথা দিয়েছিল। কিন্তু বাস্তবে তা ঘটেনি। সেখানে ফরওয়ার্ড ব্লক সেই অঙ্কে রাজি। তাই বিজেপির না রাখা প্রতিশ্রুতি এখানে পূরণ হতে পারে। এমন অঙ্কেই ফরওয়ার্ড ব্লকে যেতে চলেছেন চন্দ্র বসু বলে সূত্রের খবর। তাছাড়া সুভাষবাদকে সামনে রেখে এগোতে চাইছে ফরওয়ার্ড ব্লক। সেক্ষেত্রে চন্দ্র বসুর ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। আগামী ২০ সেপ্টেম্বর ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য কমিটির বৈঠক। সেখানেই এই বিষয়ে চূড়ান্ত ফয়সালা হয়ে যাবে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: বনগাঁ–বাগদা রেলপথ গড়ে উঠতে লাগবে জমি, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আবেদন রেলমন্ত্রীর
আর কী জানা যাচ্ছে? ফরওয়ার্ড ব্লকের সাধারণ সম্পাদক জি দেবরাজন এখন কলকাতায়। দলের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক হয়েছে চন্দ্র বসুর। ইতিমধ্যেই ফরওয়ার্ড ব্লক ‘ঘরে ঘরে নেতাজি’ কর্মসূচি নিয়ে পথে নেমে পড়েছে। সেটাকেই বড় রূপ দিতে চন্দ্রের আগমন বলে মনে করা হচ্ছে। রবিবার চন্দ্র বোসের সঙ্গে ফরওয়ার্ড ব্লকের রাজ্য সম্পাদক নরেন চট্টোপাধ্যায়ের একটি ছবি প্রকাশ্যে আসতেই গুঞ্জন শুরু হয়। ২০১৬ সালে বিজেপিতে যোগ দেন। বঙ্গ–বিজেপির সহ–সভাপতির দায়িত্ব পান। দীর্ঘদিন সেই দায়িত্ব সামলালেও ২০১৯ সালে সিএএ’র বিরোধিতা করেন। তারপর সাংগঠনিক রদবদলে তাঁর নাম বাদ পড়ে পদ থেকে। তখন থেকে বিজেপির সাধারণ সদস্য হিসাবেই ছিলেন। গত ৬ সেপ্টেম্বর বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নড্ডাকে চিঠি লিখে ইস্তফার কথা জানান।