নির্ধারিত সময়ের আগেই ইডির দফতরে পৌঁছে গেলেন নুসরত জাহান। ফ্ল্যাট প্রতারণা কাণ্ডে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সকাল ১১টার সময় তলব করে ইডি। নুসরত সকাল ১০টা ৪৩ নাগাদ সিজিও কমপ্লেক্সে ইডির দফতরে পৌঁছে যান। হাতে নথি নিয়ে তাঁকে ইডির দফতরে ঢুকতে দেখা যায়। তদন্তে তিনি সব রকম সহযোগিতা করবেন বলে জানিয়েছন।
ফ্ল্যাট বিক্রির নামে একধিক প্রবীণ ব্যক্তিকে প্রতারণা অভিযোগ ওঠে একটি সংস্থার বিরুদ্ধে। যে সংস্থার অন্যতম ডিরেক্টর ছিলেন নুসরতও। বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা প্রতারিত ব্যক্তিদের নিয়ে অভিযোগ জানান কলকাতা পুলিশ ও ইডিকে। ইডি তদন্ত শুরু করে।
নুসরত কালকাতা প্রেস ক্লাবে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন। তিনি দাবি করেন, অভিযোগ ওঠার আগেই তিনি সংস্থা ছেড়ে দিয়েছিলেন। বাড়ি কেনার জন্য সংস্থা থেকে কয়েক কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিলেন। সেই ঋণ শোধ দিয়েছিলেন। সাংবাদিকরা জানতে চান, ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিলেন না কেন। উত্তর না দিয়ে প্রেস ক্লাব থেকে বেরিয়ে যান নুসরত। নুসরত প্রতারণার টাকায় নিজে পাম অ্যাভিনিউয়ের একটি ফ্ল্যাট কিনেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
ওই সংস্থার অন্য এক ডিরেক্টর রাকেশ সিং সংবাদমাধ্যের কাছে দাবি করেন, তাঁরা ঋণ দেননি। প্রপার্টিতে পেমেন্ট করেছিলেন। নুসরত অন্য একটি সংস্থা থেকে ঋণ নিয়েছিলেন।
(পড়তে পারেন। বীরভূমের জেলা পরিষদের স্থায়ী সমিতি থেকে বাদ অনুব্রত অনুগামীরা, বাড়ছে জল্পনা)
নুসরত আত্মবিশ্বাসী ছিলেন, তাঁকে ইডি ডাকবে না। এর আগেও ডেকেছিল। আবার ডাকল। গত মঙ্গলবার ইডির তলব প্রসঙ্গে নুসরত বলেন, 'ইডি ডাকলে যাবেন, তদন্তে সহযোগিতা করবেন।'
সোমবার নুসরতের বিরুদ্ধে ফ্ল্যাট প্রতারণা সংক্রান্ত অন্য একটি মামলার শুনানি ছিল নিম্ন আদালতে। এই মামলায় আগামী ৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত নুসরতকে আদালতে হাজিরা দিতে হবে না ।