একটি বেসরকারি সংবাদমাধ্যমে অভিনেতা দেবকে বলতে শোনা গিয়েছিল যে আগামীতে ভোটে লড়া নিয়ে তিনি কিছুটা দ্বিধায় রয়েছেন। এসবের মধ্যেই অন্তত তিনটি সরকারি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন দেব। কিন্তু কিছুদিন আগেও তো দলের বৈঠকে ঘাটাল থেকে দেবকেই প্রার্থী করতে চান বলে জানিয়েছিলেন খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। তখন দেব আপত্তি তুলেছিলেন এমনটাও নয়। কিন্তু সরকারি পদ থেকে পদত্যাগের ঘটনাকে ঘিরে তো এবার অন্য় জল্পনা ছড়াচ্ছে। কেন তিনি পদত্যাগ করলেন?
এবার এনিয়ে আনন্দবাজার অনলাইনে প্রতিবেদন অনুসারে জানা গিয়েছে, সম্ভবত ব্যক্তিগত কারণে দেব এই তিনটি পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন। দেবের ঘনিষ্ঠমহল এমনটাই দাবি করছে। আর রাজ্যের মন্ত্রী শশী পাঁজা জানিয়েছেন হয়তো সময় দিতে পারছেন না। সেকারণে ইস্তফা দিয়েছেন। তবে দেবকে নিয়ে বিশেষ কোনো মন্তব্য করতে চাইছেন না দলের একাংশ।
তবে এভাবে লোকসভা ভোটের মুখে একের পর এক কমিটি থেকে দেবের পদত্যাগকে ঘিরে জল্পনা একেবারে তুঙ্গে। তবে অনেকের মতে, দেব যে তাঁর সংসদ এলাকায় সময় দিতে পারেন না এটা অসত্য কিছু নয়। তবে কেবলমাত্র সময় না দিতে পারার জন্য তিনি কমিটি থেকে ইস্তফা দিয়েছেন তেমনটা নয়। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের একাংশের মতে, আসলে ঘাটালের প্রাক্তন বিধায়কের সঙ্গে দেবের বনিবনা ছিল না। এনিয়ে রীতিমতো বিরক্ত হয়ে উঠছিলেন দেব। তবে অভিনেতা দেব ধীরে ধীরে ঘাটালের রোজকার রাজনীতির ময়দান থেকে ধীরে ধীরে নিজেকে গুটিয়ে নিতে শুরু করেন। শেষ পর্যন্ত তিনটি কমিটি থেকেই ইস্তফা দিলেন তিনি।
ঘাটাল রবীন্দ্র শতবার্ষিকী মহাবিদ্যালয়, ঘাটাল সুপার স্পেশালিটির হাসপাতালের রোগী কল্যাণ সমিতির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ও বীরসিংহ উন্নয়ন পর্ষদের ভাইস চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেন। এরপরই বাংলার রাজনীতির অঙ্গনে নানা জল্পনা ছড়ায়।
এদিকে সরকারি কমিটি থেকে ইস্তফা দেওয়ার পরেই দেবকে একেবারে দরাজ প্রশংসা করছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, গরু ও কয়লা পাচারের টাকা দেবের ফিল্মে লগ্নি হয়েছিল বলে তাঁকে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার তরফে ডেকে পাঠানো হয়েছিল। তখন যা বলেছিলাম সেটাই আবার বলছি। সৎ সঙ্গে স্বর্গবাস, অসৎ সঙ্গে নরক বাস। দেব ভালো ছেলে। কথাবার্তাও ভালো। লোকসভায় আমার সঙ্গে কথা হয়। আমি তাঁকে শুধু এটুকুই বলব, অসৎসঙ্গ ত্যাগ করা উচিত। তাহলে নরকবাসের চান্স অন্তত থাকবে না। স্বর্গবাস হবে কি না জানি না। অন্তত নরকবাসের সম্ভাবনা থাকবে না। দেবের সঙ্গে কথা বলে আমি যতটুকু বুঝেছি তাতে আগামী দিনে তার ভোটে দাঁড়ানোরও ইচ্ছা নেই। কোনও দিনও ইচ্ছা ছিল না।