কলকাতায় ফের মরণঝাঁপ। এবার শহরের অন্যতম জনপ্রিয় শপিংমল কোয়েস্ট মলের ৭ তলা থেকে ঝাঁপ দিলেন এক যুবক। এই ঘটনায় তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে নিরাপত্তারক্ষীরা পুলিশে খবর দেন। পরে পুলিশ গিয়ে যুবককে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত ঘোষণা করেন। জানা গিয়েছে, মৃত যুবকের নাম আইমন রউফ (২২)। বৃহস্পতিবার রাত ১০ টা নাগাদ এই ঘটনা ঘটেছে বলে জানা গিয়েছে। মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নিউটাউনে ১৪ তলার ব্যালকনি থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী তথ্যপ্রযুক্তির কর্মী
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই যুবক কড়েয়ার ব্রড স্টিটের বাসিন্দা। এদিন রাত ১০টা নাগাদ বিকট শব্দ পান নিরাপত্তা কোয়েস্ট মলের নিরাপত্তারক্ষীরা। তারা শব্দের উৎসস্থলে গিয়ে দেখেন রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে রয়েছেন ওই যুবক। প্রাথমিকভাবে পুলিশ জানতে পেরেছে, কোয়েস্ট মলের ৭ তলা থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল ওই যুবক। মলের পার্কিং লট থেকে তাঁকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পুলিশ ক্যালকাটা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। যুবকের কাছে বেশ কিছু নথিপত্র ছিল। তা দেখেই তাঁর পরিচয় জানতে পারে পুলিশ। এর পরে খবর দেওয়া হয় যুবকের পরিবারে। খবর পেয়ে যুবকের বাবা রবিউল হক আত্মীয়দের সঙ্গে নিয়ে হাসপাতালে পৌঁছন। ঘটনার পর মলের সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে পুলিশ। তাতে প্রাথমিকভাবে তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ওই যুবক। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায়। ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই ভিড় জমে ঘটনাস্থলে।
কলকাতার জনপ্রিয় শপিংমলগুলির মধ্যে অন্যতম একটি হল কোয়েস্ট মল। রাত অবধি এই শপিং মলটি খোলা থাকে। এর পাশাপাশি এই মলটিতে প্রচুর মানুষের ভিড় হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে কীভাবে নজরদারি এড়িয়ে ওই যুবক ঝাঁপ দিলেন? তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় সিসিটিভি ফুটেছে খতিয়ে দেখার পাশাপাশি নিরাপত্তরক্ষীদের জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। অন্যদিকে, যুবক কী কারণে আত্মহত্যার পথ বেছে নিল তা এখনও জানতে পারেনি পুলিশ। এর জন্য পরিবারের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে সল্টলেকের সিটি সেন্টারের বহুতল থেকে ঝাঁপ দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন বেসরকারি সংস্কার এক কর্মী। সেক্ষেত্রে জানা যায় ওই যুবক মানসিক চাপের কারণে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। এদিনের ঘটনায় মানসিক চাপ রয়েছে? নাকি অন্য কারণ রয়েছে? তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।