শুভব্রত মুখার্জি: যে কোনও খেলায় স্বার্থের সংঘাত একটি বড় ইস্যু। ক্রিকেটও তার ব্যতিক্রম নয়। বিশেষ করে গোটা বিশ্বে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগের যুগে এই ইস্যু আরও বড় আকার ধারণ করেছে। বিষয়টি নিয়ে বিশ্ব ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থা আইসিসির স্পষ্ট রুপরেখা রয়েছে। এমন আবহেই আমিরশাহি টি-১০ লিগে দুর্নীতির ছায়া স্পষ্ট। আট জন ক্রিকেটার সহ ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের বিরুদ্ধেও রয়েছে দুর্নীতির অভিযোগ। যা ইতিমধ্যেই প্রমাণিত। বাংলাদেশের অলরাউন্ডার নাসির হোসেন সহ বাকিরা ইতিমধ্যেই আইসিসির শাস্তির কবলে পড়েছেন। এই টি-১০ লিগের প্রবর্তক সাজি উল মুল্ক। তিনি আবার এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড অর্থাৎ ইসিবির 'কো অপটেড' সদস্য। তবে আইসিসি জানিয়ে দিয়েছে, এতে তদন্ত কোনও ভাবে প্রভাবিত হবে না।
২০২১ সালে আবুধাবি টি-১০ লিগে একাধিক দুর্নীতির অভিযোগ স্পষ্ট করেছে আইসিসি। একাধিক দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত হয়েছেন আট ক্রিকেটার। পাশাপাশি অভিযুক্ত হয়েছেন একাধিক ফ্র্যাঞ্চাইজির মালিক। আইসিসি এক মিডিয়া রিলিজে জানিয়েছে, ইসিবির তরফে নিযুক্ত দুর্নীতি দমন শাখার অফিসিয়াল হিসাবে এই ক্রিকেটার এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের শাস্তি দেবে আইসিসি। তবে আইসিসি বা ইসিবি দু'তরফেই এই দুর্নীতির কথা স্বীকার করে নিলেও স্বার্থের সংঘাতের কথাতে মান্যতা দেয়নি কোনও পক্ষ।
আরও পড়ুন: পাকিস্তান পুরো ঘেঁটে আছে, ভারত একেবারে তৈরি, সোজাসাপ্টা ইংলিশ প্রাক্তনী
সাজি উল মুল্ক আবুধাবি টি-১০ লিগের প্রবর্তক। পাশাপাশি বর্তমানে এই লিগের সমস্ত কিছু ও পরিচালনা করছেন তিনি। এর পরেও স্বার্থের সংঘাত ইস্যুতে তাঁর নাম উঠে এসেছে। পাশাপাশি নাম উঠে এসেছে ইসিবির চেয়ারম্যান এইচ এইচ শেখ নাইহান বিন মুবারক আল নাইহান এবং ভাইস চেয়ারম্যান খালিদ আল জারুনির। নাম রয়েছে অন্যান্য বোর্ড সদস্য এবং জেনারেল সেক্রেটারিরও। আইসিসির কাছে নানা অভিযোগ জমা পড়েছে আবুধাবি টি-১০ লিগ নিয়ে।ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকরা বোলিং এবং ব্যাটিং অর্ডার ঠিক করে দেওয়া থেকে দলের তারকা ক্রিকেটারদের বসিয়ে দেওয়া সহ নানা সন্দেহজনক সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। টি-১০ ফর্ম্যাটটি যদিও আইসিসির দ্বারা স্বীকৃত ফর্ম্যাট নয়।