ঘরের মাঠে টেস্ট খেলতে নেমে ফের ল্যাজেগোবরে হল বাংলাদেশ। প্রত্যাশা মতোই প্রথম টেস্টের মতো সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টেও নাজমুল হোসেন শান্তদের বিরাট ব্যবধানে হারিয়ে দিল শ্রীলঙ্কা। সেই সুবাদে দুই টেস্টের সিরিজে বাংলাদেশে হোয়াইটওয়াশ করল দ্বীপরাষ্ট্র।
সিলেটের প্রথম টেস্টে ৩২৮ রানের বিরাট ব্যবধানে জয় তুলে নেয় শ্রীলঙ্কা। এবার চট্টগ্রামের দ্বিতীয় টেস্টে সিংহলিরা জেতে ১৯২ রানের বড় ব্যবধানে। অর্থাৎ, বাংলাদেশ সফরের ২টি টেস্ট থেকে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের মূল্যবান ২৪ পয়েন্ট সংগ্রহ করেন ধনঞ্জয়া ডি'সিলভারা।
চট্টগ্রামে ছ'জন ব্যাটারের হাফ-সেঞ্চুরির সুবাদে শ্রীলঙ্কা তাদের প্রথম ইনিংসে ৫৩১ রান সংগ্রহ করে। নিশান মদুষ্কা ৫৭, দিমুথ করুণারত্নে ৮৬, কুশল মেন্ডিস ৯৩, দীনেশ চণ্ডীমল ৫৯, ধনঞ্জয়া ডি'সিলভা ৭০ ও কামিন্দু মেন্ডিস অপরাজিত ৯২ রান করেন। শাকিব আল হাসান প্রথম ইনিংসে ৩টি উইকেট নেন।
পালটা ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশ তাদের প্রথম ইনিংসে অল-আউট হয় ১৭৮ রানে। জাকির হাসান ৫৪ ও মোমিনুল হক ৩৩ রান করেন। শাকিব ১৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন। শ্রীলঙ্কার অসিথা ফার্নান্ডো ৪টি উইকেট দখল করেন। প্রথম ইনিংসের নিরিখে ৩৫৩ রানের বিশাল ব্যবধানে এগিয়ে থেকেও বাংলাদেশকে ফলো-অনের লজ্জা থেকে মুক্তি দেয় শ্রীলঙ্কা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ উইকেটে ১৫৭ রান তুলে ব্যাট ছেড়ে দেন ডি'সিলভাররা। অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ৫৬ ও নিশান মদুষ্কা ৩৪ রান করেন। ২৮ রান করেন জয়সূর্য। হাসান মাহমুদ দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে ৪টি উইকেট নেন। ১টি উইকেট নেন শাকিব আল হাসান।
প্রথম ইনিংসের খামতি মিলিয়ে জয়ের জন্য বাংলাদেশের সামনে লক্ষ্যমাত্রা দাঁড়ায় ৫১১ রানের। বাংলাদেশ শেষ ইনিংসে অল-আউট হয় ৩১৮ রানে। মেহেদি হাসান মিরাজ ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন। এছাড়া মোমিনুল হক ৫০, লিটন দাস ৩৮, শাকিব আল হাসান ৩৬ ও ক্যাপ্টেন শান্ত ২০ রানের যোগদান রাখেন। শেষ ইনিংসে শ্রীলঙ্কার হয়ে ৪টি উইকেট নেন লাহিরু কুমারা। ৩টি উইকেট নেন কামিন্দু মেন্ডিস।
প্রথম ইনিংসে ৯২ ও দ্বিতীয় ইনিংসে ৯ রান করার পাশাপাশি ৩টি উইকেট নেওয়া কামিন্দু মেন্ডিস ম্যাচের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কার জেতেন। দুই ম্যাচে ২টি শতরান-সহ সাকুল্যে ৩৬৭ রান ও ৩টি উইকেট সংগ্রহ করে সিরিজের সেরা ক্রিকেটারের পুরস্কারও হাতে তোলেন কামিন্দু মেন্ডিস।