ভারতে জনপ্রিয় খেলা বলতে গেলে প্রথমেই যার নাম আসবে তা হল ক্রিকেট। কিন্তু তা সত্বেও ক্রীড়া জগতের বৃহত্তম মঞ্চে এই খেলার জায়গা প্রায় নেই বললেই চলে। ফুটবল, হকি, ব্যাডমিন্টন, ইত্যাদি অলিম্পিক্সে স্থান পায়। কিন্তু স্থান পায় না ক্রিকেট। যদিও স্থান পায় না বললে ভুল বলা হবে, আজ থেকে প্রায় একশো বছরেরও বেশি সময়ের আগে ক্রিকেটকে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। তারপর থেকে কোনও চিহ্নই পাওয়া যায়নি। কিন্তু অবশেষে ১২৮ বছর পর ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হল অলিম্পিক্স স্তরে, অর্থাৎ ২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলসে আয়োজিত অলিম্পিক্সে দেখা যাবে ক্রিকেট। এই খবর শুনে অত্যন্ত খুশি হয়েছেন ক্রিকেটপ্রেমী সহ গোটা ক্রীড়া জগত।
১০০ বছরেরও বেশি সময়ের পর অলিম্পিক্সে ক্রিকেট অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় অত্যন্ত খুশি আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা গ্রেগ বার্কলে। গ্রেগ জানান, '৬টি দল খেলার সুযোগ পাবে। যেহেতু আমেরিকা আয়োজক দেশ সেই কারণে তারা সরাসরি সুযোগ পাবে এবং পাঁচটি সেরা টি-২০ দল পাবে। ২০২৫ শুরু হলেই সবকিছু ঠিক করে নেওয়া হবে।' তিনি আরও জানান, 'তাদের এলএ আয়োজন কমিটি ও আইওসিকে সন্তুষ্ট করার জন্য প্রচন্ড খাটতে হয়েছে এবং সেই কারণেই আজ ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।'
এখানেই শেষ নয় গ্রেগ আরও জানান, 'এই বিষয়ে বিশেষ কিছু বলতে চাইনা। তবে এটাই বলতে চাই যে আমাদের খেলা অলিম্পিক্স স্তরের বাকি খেলার চেয়ে কোনও অংশে কম নয়। আমাদের খেলার আদর্শ অলিম্পিক্স স্ট্যান্ডার্ডের সঙ্গে যায়।' এছাড়াও গ্রেগ আশাবাদী যে ২০৩২ সালে ব্রিসবেনে আয়োজিত অলিম্পিকসেও স্থান পাবে ক্রিকেট।
উল্লেখ্য, এই মুহূর্তে চলছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০২৩। আয়োজক দেশ ভারত শীর্ষস্থানে এবং চালকের আসনে রয়েছে। পরপর তিনটি ম্যাচ জিতে বাকি দলগুলির কাছে আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে টিম ইন্ডিয়া। তবে ভারতীয় ক্রিকেটের সাফল্য শুধু বিশ্বকাপ অবধি সীমাবদ্ধ নয়। এই বছর চিনে আয়োজিত এশিয়ান গেমসেও ক্রিকেটে ভালো ফল করেছে টিম ইন্ডিয়া। ফাইনালে তাঁরা আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে খেলতে নামে এবং বৃষ্টির জন্য পুরো ম্যাচ হয়নি। ফলে, ব়্যাঙ্কিং ভালো থাকায় সোনা পায় ভারত। এবার দেখার বিষয় এই বিশ্বকাপে কি ফল করে রোহিত শর্মা বাহিনী। শেষ অবধি কি তারা পারবে দেশকে বিশ্বকাপ উপহার দিতে?