এবারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ থেকেই ব্যাট হাতে নজর কেড়েছেন রাচিন রবীন্দ্র। দলকে টপ অর্ডারে ভরসা দিয়েছেন এই ব্যাটার। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও যা অন্যথা হয়নি। শ্রীলঙ্কার দেওয়া মাত্র ১৭২ রানের টার্গেট মাথায় নিয়ে ব্যাট করতে নামলে ২৩.২ ওভারেই জয়ের জন্য নির্ধারিত রান তুলে নেয় নিউজিল্যান্ড। এই ম্যাচে রাচিন রবীন্দ্র ৩৪ বলে ৪২ রানের ইনিংস খেলেন। তাঁর এই ইনিংসটি সাজানো ছিল ৩টি বাউন্ডারি এবং ৩টি ওভার বাউন্ডারির সাহায্য়ে। এছাড়াও ডেভন কনওয়ে ৪৫ রান এবং ডারিল মিচেল ৪৩ রান করেন। শ্রীলঙ্কাকে হারানো ফলে ৯ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। কার্যত সেমিফাইনাল পাকা করে ফেলেছে কিউয়িরা।
এবারের বিশ্বকাপে অন্যতম সেরা পারফরম্যান্স করেছেন রবীন্দ্র। ৯ ম্যাচে তাঁর সংগ্রহ ৫৬৫ রান। সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারীদের তালিকায় উপরের দিকেই রয়েছেন তিনি। বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মেও রয়েছেন। বেঙ্গালুরুতেও সেই ধারা তিনি বজায় রেখেছেন। তবে ভারতের মাটিতে খেলার খুব একটা অভিজ্ঞতা ছিল না তাঁর। কিন্তু কনওয়ে এবং কেন উইলিয়ামসের পরমার্শ তিনি কাজে লাগিয়েছেন। ভারতের মাটিতে কীভাবে ভালো পারফরম্যান্স করা যায়, তাদের থেকেই জেনেছেন রাচিন।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ম্যাচ শেষের পর তিনি জানিয়েছেন, 'সত্যি বলতে ভারতের মাটিতে খেলার অভিজ্ঞতা আমার খুবই কম। লম্বা টুর্নামেন্টে নিজের ফর্ম ধরে রাখতে ডেভন কনওয়ে এবং উইলিয়ামের সঙ্গে কথা বলেছি। কারণ তারা আইপিএল খেলে। এখানকার পিচের চরিত্র সম্পর্কে তারা ওয়াকিবহাল। সেতুর নীচে এখনও জল রয়েছে এবং আমরা সেই খেলাগুলি দেখব। আমি কেনের খেলায় ফোকাস করেছি, এই বিশ্বকাপে অনেক ক্রিকেটারের খেলায় ফোকাস করেছি। আমি ভাবতেই পারছি না কোহলি, রুট, স্টিভ স্মিথের সঙ্গে খেলছি। আমি ভাগ্যবান যে এদের সঙ্গে খেলেছি।'
অনেকেই সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে রাচিন রবীন্দ্রর তুলনা করছে। এই প্রসঙ্গে কিউয়ি তারকা বলেন, 'সচিন তেন্ডুলকরের খেলা দেখে আমি বড় হয়েছি। তাঁর সঙ্গে আমার তুলনা করা হবে, যা কল্পনাতেও ভাবিনি। তবে শুনতে ভালো লাগলেও, তাঁর কৃতিত্বকে স্পর্শ করার মতো পর্যায়ে আমি এখনও যাইনি। ভাগ্যিস ৬ মাস আগেও আমি একই ফ্রেমে ছিলাম না। তবে বেঙ্গালুরুতে খেলতে সত্যি খুব ভালো লাগে। এখানকার পরিবেশ সত্যি আমার অনেকটাই কাছের।'