৬০ হাজারেই কি বদলে যাবে উত্তরের চা বলয়ে ভোটের সমীকরণ? ভোটপর্বে এই প্রশ্নটাই ঘুরছে উত্তরবঙ্গের একাধিক চা বাগানে। একটু কান পাতলেই শোনা যাচ্ছে এই ৬০ হাজারের কাহিনি। পাড়ার জটলায়, চা শ্রমিক মহল্লায় এনিয়ে নানা কানাঘুষো চলছে। আসল কথা হল ভোটের ঠিক আগে চা সুন্দরী এক্সটেনশনের নাম করে চা শ্রমিকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকছে ৬০,০০০ করে টাকা। আর এটাই নাকি বড় ম্যাজিক!
একদিকে মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় ও অপরদিকে নরেন্দ্র মোদী উত্তরবঙ্গে সভা করলেই চা বাগানের শ্রমিকদের প্রসঙ্গ তুলছেন।
কিন্তু এই ৬০ হাজারের গল্পটা আসলে কী? শ্রমিকদের একাংশের দাবি রাজ্য সরকার চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য ৫ ডেসিবেল করে জমির ব্যবস্থা করছে। সেই জমিতে ঘর তৈরির জন্য ১ লাখ ২০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। অন্তত তিনটি কিস্তিতে এই টাকা আসবে চা শ্রমিকদের কাছে। আর তার প্রথম কিস্তির টাকা চলে এসেছে বহু শ্রমিকের অ্যাকাউন্টে। দাবি এমনটাই।
আর তাতেই নাকি কেল্লা ফতে। স্থানীয় সূত্রে খবর, একদিকে যেমন চা শ্রমিকদের অনেকে চা সুন্দরী প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন। কিন্তু চা সুন্দরী প্রকল্পের ক্ষেত্রে নানান সমস্যা। সেজন্য অনেকেই সেই চা সুন্দরী প্রকল্পের ঘর নিতে চাইছেন না। তবে তা নিয়ে তাঁদের ক্ষোভও বড় একটা নেই। কারণটা কী?
আসলে যারা চা সুন্দরী প্রকল্পে ঘর পেয়েছেন তাঁদের অ্যাকাউন্টেও আসছে ৬০ হাজার টাকা। মূলত নির্দিষ্ট জমিতে ঘর তৈরির জন্য এই সরকারি সহায়তা করা হচ্ছে। এতেই খুশির হাওয়া শ্রমিক মহল্লায়। যার সুফল পেতে পারে ঘাসফুল শিবির। এমনটাই মত অনেকের।
এমনকী সূত্রের খবর, নাগরাকাটার একটি চা বাগানে প্রচার করতে গিয়ে সমস্যায় পড়েছিলেন বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ। সেখানেও নাকি সেই ৬০ হাজারের ম্যাজিক। এমনকী শ্রমিকদের একাংশের দাবি এই ৬০ হাজারের অর্থ সহায়তা কার্যত ঘুরিয়ে দিতে পারে ভোটের হাওয়া। এমনকী যে শ্রমিকরা বিজেপি করেন তাঁদের একাংশের মধ্য়েও বর্তমানে অন্য়রকম চর্চা হচ্ছে। সেক্ষেত্রে ইভিএমে এই ৬০ হাজারের কতটা কার্যকরী হয় সেটাও দেখার।
এদিকে একাধিক চা বাগানে ঘুরে দেখা গিয়েছে বিজেপি ও তৃণমূলের পতাকা রয়েছে। প্রচার দাপিয়ে হচ্ছে তেমনটা নয়। তবে নীরবে প্রচার চলছে এলাকায়। কেউ কাউকে এক ইঞ্চি জমি ছাড়তে রাজি নয়।
তবে শ্রমিক মহল্লায় বিভিন্ন দলের নেতৃত্ব মাঝেমধ্যে ঘরোয়া বৈঠক করছে। কিন্তু প্রশ্ন উঠেছে সব কিছুকে কি ছাপিয়ে যাবে সেই ৬০ হাজারের ম্যাজিক? এবার কি তবে উত্তরবঙ্গের চা বলয়ে খেলা দেখাবে কড়কড়ে ৬০ হাজার টাকা? এনিয়ে চর্চা তুঙ্গে।