মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়ের জনগর্জন সভা। একেবারে কানায় কানায় পূর্ণ মমতার সভা। লোকসভা ভোটের আগে তৃণমূলের শক্তি পরীক্ষার বড় মঞ্চ। মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায় বলেন, আপনারা যদি আমাদের না জেতান তবে এই টাকাগুলো… গর্জন বেরোবে কী কোত্থেকে? আমরা আপনাদের বলব ১৮টি আসন দিয়েছিলেন। বিধানসভাকেও কয়েকটা আসন পেয়েছিল। কোনও কাজ করেনি। দিল্লি গিয়ে বলে আসে ১০০ দিনের টাকা দেব না। রাস্তার টাকা দেব না। গ্রামের টাকা দেব না। আবাসনের টাকা দেব না। তাহলে ভোট দেবেন কেন? গ্রামের রাস্তা নেই, বিজেপির ভোট নেই। ১০০ দিনের টাকা নেই। বিজেপির ভোট নেই। গ্রামের মানুষের আবাসন নেই। বিজেপির ভোট নেই। গরীব মানুষের খাবার নেই, বিজেপির টাকা নেই…সেই সঙ্গে কখনও খলিস্তানি ইস্যুতে বিজেপিকে কটাক্ষ করেন মমতা। আবার নাম না করে অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্য়ায়কেও তীব্র কটাক্ষ করেন তিনি। তিনি বলেন, আপনারা চেয়ারে বসেছিল কেউটে। বাইরে বেরিয়ে এসে গোখরো।
ব্রিগেডের জনগর্জন সভায়। সেই সভাকে সফল করতে চেষ্টার কোনও কসুর করেনি তৃণমূল। এই ব্রিগেড থেকেই প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করা হল। প্রার্থী তালিকায় রয়েছে একাধিক চমক। সেখানে একদিকে যেমন প্রাক্তন আইপিএস রয়েছেন তেমনি রয়েছেন অভিনেতা-অভিনেত্রীরাও।
মমতা সেই ব্রিগেড থেকে সব আসনেই প্রার্থীদের জেতানোর আহ্বান করলেন।
মমতা বলেন, ব্রিগেডের গর্জন। বিজেপির বিসর্জন। পাড়ায় পাড়ায় গর্জন। বিজেপির বিসর্জন। সংখ্য়ালঘু ভাইবোন। দিল মে দুঃখ হ্যায় না। মনে রাখবেন আমরা যত দূর সম্ভব প্রার্থী দেওয়ার চেষ্টা করেছি। মনের মতো। দু একজনকে হয়তো দিতে পারিনি। তাদের অন্য় সময় দিয়ে দেব। বিধানসভায় বা অন্যসময় দিয়ে দেব। দেশ কোন পথে চলবে তা তৃণমূল ঠিক করবে। …তিনি বলেন, এটা মানুষের গর্জন। এটা মানুষের তুফান। আমি বলব ব্রিগেডের গর্জন, আপনারা বলবেন বিজেপির বিসর্জন। এরপরই মমতা বলেন, আমার গলা আপনাদের থেকে কমে গেল কী করে?
উত্তরবঙ্গে গর্জন। দক্ষিণবঙ্গেও গর্জন। চারিদিকে গর্জন। স্লোগান মমতার।