কোচবিহারে নির্বাচনী সভার আগে দলের মহিলা কর্মীকে ফোনে কুশল জানতে চাইলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সঙ্গে ভোট প্রচার নিয়ে দিলেন কিছু পরামর্শ। বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপির তরফে সেই কথপোকথনের রেকর্ডিং প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার মালদা (উত্তর) লোকসভা কেন্দ্রের হবিবপুর বিধানসভার বৈদ্যপুর গ্রামের বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য লতিকা হালদারকে ফোন করেন প্রধানমন্ত্রী। খোদ নরেন্দ্র মোদী তাঁর খোঁজ নেওয়ায় আপ্লুত লতিকাদেবী। পরে বিজেপির তরফে প্রকাশিত অডিয়ো রেকর্ডিংয়ে শোনা যায় তাঁদের কথোপকথন।
প্রধানমন্ত্রী - বাংলায় নির্বাচনী হিংসা মারাত্মক আকার ধারণ করেছে। আপনাকে প্রচারে তেমন কোনও পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হচ্ছে না তো?
লতিকা - আমি সবার বাড়ি বাড়ি মহিলাদের একজোট করে প্রচার করছি।
প্রধানমন্ত্রী - তাহলে ওদের মহিলারাও আপনাদের সঙ্গে এসে ঝগড়া বাঁধায় নিশ্চই?
লতিকা - না
প্রধানমন্ত্রী - আপনি সব জায়গায় গিয়ে নিজের বক্তব্য রাখতে পারছেন?
লতিকা - পারছি, সব জায়গায় গিয়ে একত্রিত হয়ে সবাইকে বোঝাচ্ছি।
প্রধানমন্ত্রী - কেন্দ্রীয় সরকার যে সবাইকে বিনামূল্যে রেশন পাঠাচ্ছে সেটা কি সবাই জানে? সবাই কি জানে যে ভারত সরকার, মোদী সরকারই রেশন পাঠাচ্ছে?
লতিকা - আমি সবাইকে বোঝাচ্ছে, সবাই বুঝতে পেরেছে।
প্রধানমন্ত্রী - লতিকাজি আপনারা খুব সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচনে সব থেকে বড় চ্যালেঞ্জ হল নির্বাচনী হিংসা। কিন্তু নির্বাচন কমিশন সুরক্ষার আঁটোসাটো বন্দোবস্তো করেছে। আমরাও বাংলার পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছি। আপনাকে প্রতিটি ভোটারের বাড়িতে পৌঁছতে হবে আর পরিবারের সদস্যদের সাহস দিতে হবে যে তারা নির্ভয়ে ভোটদান করে। আপনি আপনার বুথের প্রতিটি ব্যক্তির সঙ্গে সাক্ষাৎ করুন। তাকে বিজেপির নীতি সম্পর্কে অবহিত করুন। তাদের প্রত্যাশার সাথী হোন।
কথপোকথনে নরেন্দ্র মোদী বাংলায় রাজনৈতিক হিংসার কথা উল্লেখ করলেও তেমন অভিজ্ঞতার কথা স্বীকার করেননি তাঁরই দলের তৃণমূল স্তরের কর্মী লতিকা হালদার। এতেই পালটা আক্রমণ করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, বিজেপির রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ পুরোটাই বিভ্রান্তিমূলক। পশ্চিমবঙ্গকে বদনাম করতে লাগাতার একই অভিযোগ করে চলে ওরা। কিন্তু নিজেদের দলীয় কর্মীই প্রধানমন্ত্রীকে বলে দিলেন অবাধে ভোটপ্রচার করতে পারছেন তিনি। এর পরও কি বিজেপি রাজনৈতিক সন্ত্রাসের অভিযোগ করবে?