আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে নজরকাড়া কেন্দ্রগুলির মধ্যে অন্যতম হল বিষ্ণুপুর। এই আসনে প্রাক্তন স্বামী স্ত্রীর লড়াই দেখবে রাজ্যবাসী। একদিকে বিজেপির প্রার্থী হয়েছেন সৌমিত্র খাঁ, আর অন্যদিকে তাঁর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তৃণমূল প্রার্থী মণ্ডল। দুজনে বিভিন্ন সময়ে প্রায়ই একে অপরকে আক্রমণ পালটা আক্রমণ করে থাকেন। আর এবার দুজনেই একই দিনে চৈত্র সংক্রান্তির আগে গাজন মেলায় উপস্থিত হয়ে দুটি পৃথক মন্দিরে পুজো দিলেন। আর দুজনেই একে অন্যকে হারিয়ে লড়াইয়ে জয়ী হওয়ার জন্য প্রার্থনা করলেন।
আরও পড়ুন: ইন্দাসে মহিলা নিয়ে তৃণমূল নেতার উদ্দাম নৃত্য, সুজাতা-সৌমিত্রের তরজা তুঙ্গে
বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুর শহরের কাছে অবস্থিত ষাঁড়েশ্বর মন্দির এবং এক্তেশ্বর মন্দিরে প্রতিবছরই চৈত্র সংক্রান্তির এই মেলা উপলক্ষে প্রচুর ভিড় হয়। রাঢ় বাংলার অন্যতম প্রধান উৎসবগুলির মধ্যে রয়েছে এই গাজন মেলা। শুক্রবার এই দুটি মন্দিরে হাজির হয়ে পুজো দেন তৃণমূল এবং বিজেপির প্রার্থী।
লোকসভা ভোটের আগে ষাঁড়েশ্বর মন্দির প্রাঙ্গণে উপস্থিত হন তৃণমূল কংগ্রেস প্রার্থী সুজাতা মণ্ডল। প্রথমে ষাঁড়েশ্বরের পবিত্র জলে স্নান পর্ব সেরে মন্দিরে প্রবেশ করেন। এরপর মন্দিরের গর্ভগৃহে দেবাদীদেব মহাদেবের আরাধনা করেন তৃণমূল প্রার্থী। এছাড়াও, কথা বলেন ভক্তদের সঙ্গে। মন্দিরে পুজো দেওয়ার পর তিনি বলেন,‘বিষ্ণুপুরের যিনি অধিশ্বর সেই বাবার মন্দিরে এসে স্নান করলাম। বাবাকে উৎসর্গ করে পুজো দিলাম। হাজার হাজার ভক্তের মতো আমিও প্রভুর একজন ভক্ত, প্রভুর চরণদাসী। তাঁর কাছে মনের কথা জানালাম। ভক্তদের কাছে আশীর্বাদ প্রার্থনা করলাম। বাবা সব জানেন, তিনি অন্তর্যামী। তিনি সবার মনের কথা জানেন। তিনি জানেন আমি কী চাইলাম?’
সুজাতা আরও বলেন, ‘মানুষের সেবার জন্য আমি আমার জীবন উৎসর্গ করেছি। বাবার কাছে আশীর্বাদ নিয়ে আমি মানুষের সেবা করতে চাই। বাবার কৃপায় এবার বিরোধীরা কুপোকাত হবে আর তৃণমূল কংগ্রেস বাজিমাত করবে।
অন্যদিকে, এদিন এক্তেশ্বর মন্দিরে পুজো দেন সৌমিত্র। তিনি বলেন, ‘আমি ছোট থেকে শিবের ভক্ত। বাবা এক্তেশ্বর ষাঁড়েশ্বরের উপর আমার প্রচুর আস্থা রয়েছে।’ ৫ বছর যেন তিনি মানুষের জন্য কাজ করতে পারেন। তার জন্য তিনি প্রার্থনা করেছেন। তিনি সর্বোপরি রাজ্য সরকারকে পরাস্ত করে মানুষের দুঃখ কষ্ট দূর করার জন্য প্রার্থনা করেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে ২০১৯ সালে লোকসভা নির্বাচনের আগে সৌমিত্রর হয়ে এই দুটি মন্দিরে পুজো দিয়েছিলেন সুজাতা মণ্ডল। সেই সময় আদালতের নির্দেশে লোকসভা কেন্দ্রে যাওয়া নিষেধ ছিল সৌমিত্রর। তখন সুজাতাই তাঁর হয়ে প্রচার করেছিলেন।