একের পর এক রাজ্য়ে বিজেপির জয়। এরপর দিল্লিতে রবিবাসরীয় সন্ধ্যায় দলের কেন্দ্রীয় দফতর থেকে মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বক্তব্যের প্রথমেই কংগ্রেসের জাতিগত জনগণনার প্রতিশ্রুতিকে কার্যত কটাক্ষ করেন তিনি।
মোদী বলেন, ভারতকে জাতপাতের ভিত্তিতে বার বার ভাঙার চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষকে নতজানু হয়ে প্রণাম করছি।বিভেদের রাজনীতির বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন মানুষ। এই জয় নারীশক্তি,যুব শক্তি, কৃষক ও গরিবের জয়। তিনি বলেন, নারীরা আশীর্বাদ করেছেন। তাঁরা একরকম ঠিক করে নিয়েছিলেন তাঁরা বিজেপির জয়কে নিশ্চিত করবেন। সেই জয়ই হয়েছে। তাঁরাই রক্ষাকবচ। তাঁদের প্রণাম।
মোদী বলেন, নারী শক্তির বিকাশ হল বিজেপির বিকাশের উল্লেখযোগ্য দিক। মহিলা, মা বোনরা বিজেপিকে পুরোপুরি আশীর্বাদ করেছেন। বিনম্রতার সঙ্গে বলেছি মা বোনেদের যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছি তা ১০০ শতাংশ পূরণ করব। এটা মোদীর গ্যারান্টি। মোদীর গ্য়ারান্টি মানে গ্য়ারান্টি পূরণ হওয়ার গ্য়ারান্টি। মহিলা সংরক্ষণ বিল প্রসঙ্গেও তিনি বলেন।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, গোটা দুনিয়ায় এই ভোটের জয়ের কথা ছড়িয়ে পড়বে। এই জলের ফলাফল গোটা বিশ্বজুড়ে নতুন বিশ্বাস দেবে। বিকশিত ভারতের সংকল্প যে আমরা নিয়েছি তার লাগাতার আশীর্বাদ পড়বে। ভারতের মানুষ কতটা ম্য়াচিওর সেটা দুনিয়া দেখছে। স্থির সরকার তৈরির জন্য চিন্তাভাবনা করেই ভারতের জনগণ কাজ করে যাচ্ছে।
মোদী বলেন, যেখানে ডবল ইঞ্জিন সেখানেই উন্নয়ন। রাজস্থানে প্রচারে গিয়ে বলেছিলাম, এখানে কংগ্রেসের সরকার থাকবে না। তার প্রতিফলন ভোটবাক্সে হয়েছে।.. যেকোনওভাবে জেতার জন্য হাওয়ায় হাওয়ায় কথা বলা এটা ভোটাররা পছন্দ করেন না। তাঁরা চান স্পষ্ট রোড ম্যাপ। ভারতের ভোটাররা জানেন যদি ভারত আগে এগিয়ে যায় তবে রাজ্যও এগোবে। সেকারণেই তারা বার বার বিজেপিকে বেছে নেন। ২৪ এর হ্যাটট্রিকের গ্য়ারান্টি দিয়ে দিয়েছে।
এরপরই তুমুল করতালি শুরু হয়ে যায়। মোদী মোদী চিৎকার শুরু হয়। দুর্নীতি, তুষ্টিকরণ, পরিবারবাদের বিরুদ্ধে দেশের প্রত্যের নাগরিকের মধ্য়ে জিরো টলারেন্স তৈরি হয়েছে। এটা কেউ করতে পারলে সেটা বিজেপিই পারবে।