পঞ্চায়েত ভোটমুখী রাজ্য। তার মাঝে পঞ্চায়েত সমিতির ভোটে কার্যত বিনা প্রতিন্দ্বন্দ্বিতায় জয়ী বিজেপির প্রার্থী লক্ষ্মী মুর্মু। তবে তৃণমূলের উন্নয়ন দেখে, জয়ের নিশ্চিত হতে তিনি যোগ দেন তৃণমূলে। ঘটনা দুবরাজপুর ব্লকের পদুমা পঞ্চায়েতে ১৭ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনের। উল্লেখ্য, এই ভোটে নাটকীয় মোড় এনে দেয় ভোটের আগে, তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিলের ঘটনা। ফলে মূল লড়াই দাঁড়ায় বিজেপি, সিপিএমএর মধ্যে। সেই জায়গায় বিজেপি প্রার্থী দল বদলের ফলে এবার জয়ের হাসি তৃণমূলের মুখে।
উল্লেখ্য, বীরভূমের দুবরাজপুরের পদুমা পঞ্চায়েতে ১৭ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে তৃণমূল, সিপিএম ও বিজেপি তিন পার্টির প্রার্থী মনোনয়ন পেশ করেন। তবে তৃণমূল প্রার্থীর মনোনয়ন বাতিল হয়ে যায়। লড়াই মূলত বাম বনাম বিজেপির হয়। তারপরই বিজেপি প্রার্থী লক্ষ্মী মুর্মু বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয় লাভ করেন। তবে এই জয়ের পর তিনি বিজয় উৎসব যদিও গেরুয়া আবিরে পালন করতে পারেননি। কারণ, তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উন্নয়নে শামিল হতে, লক্ষ্মী তৃণমূলে যোগ দেন। আর তার কারণও তিনি জানান। রথের দিন, মঙ্গলবার তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেন শাসকদলের দুবরাজপুর কোর কমিটির সদস্যরা। তৃণমূলের পদুমা অঞ্চলের সভাপতি তরুণ ঘরুই সমেত অনেকেই সেখানে উপস্থিত ছিলেন। ভোটের আগে বিজেপিতে থাকা লক্ষ্মী তৃণমূলে চলে যান। আর ঘাসফুল শিবিরের বিশিষ্টজনদের সমক্ষেই তাঁর হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দেওয়া হয়।
পঞ্চায়েত সমিতির ১৭ নম্বর আসনে তৃণমূল কংগ্রেসের রোজমেরী কিস্কু, সিপিএম এর লক্ষ্মী মার্ডি এবং বিজেপির লক্ষ্মী মুর্মু দাঁড়িয়েছিলেন। কিন্তু মনোনয়ন পেশের শেষ দিনে রোজমেরী কিস্কু স্ক্রুটিনিতে বাদ পড়ে যান। এদিকে, মনোনয়ন প্রত্যাহার করেন সিপিএম প্রার্থী। তারফলে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে যান লক্ষ্মী মুর্মু। আর ভোটে জিতেই তিনি তৃণমূলে যোগ দেন।