সেঁজুতি সেনগুপ্ত
রাজস্থানে কংগ্রেসের ফলাফল পর্যালোচনা করলে দেখা যাচ্ছে ২৫জন মন্ত্রীর মধ্যে মাত্র ৯জন জয়ী হয়েছেন। তার মধ্য়ে বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটও রয়েছেন। অন্যদিকে বিজেপির সাতজন এমপি এবার ভোটে দাঁড়িয়েছিলেন। তার মধ্যে তিনজন এবার পরাজিত হয়েছেন।
বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলট ও তাঁর মন্ত্রীদের পরিস্থিতিটা দেখে নিন…
সেই ১৯৯৮ সাল থেকে যোধপুরের সর্দারপুরা আসন থেকে বিধায়ক হচ্ছেন গেহলট। ষষ্ঠবারেও জয় পেলেন তিনি। জেএনভিইউ প্রফেসর মহেন্দ্র রাঠোরকে পরাজিত করেছেন তিনি। তবে ২০১৮ সালের নিরিখে এবার জয়ের ব্যবধান প্রায় অর্ধেক হয়ে গিয়েছেন। এবার তিনি ২৬,০০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন।
৯জন মন্ত্রী জয়ী হয়েছেন এবারের ভোটে। বাকিরা ডাহা ফেল। যে বিদায়ী মন্ত্রীরা এবার জয়ী হলেন তারা হলেন, টিকারাম জুল্লি, শান্তি ধারিওয়াল, মুরারিলাল মীনা, অর্জুন বামনিয়া, মহেন্দ্রজিত মালব্য, ব্রিজেন্দ্র ওলা, অশোক চন্দ, আরএলডি নেতা সুভাষ গর্গ।
আর ১৭জন মন্ত্রী পরাজিত এবারের ভোটে। তার মধ্য়ে সংখ্যালঘু দফতরের মন্ত্রী, শিশু ও নারী কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী, রাজ্য শিক্ষা মন্ত্রী, গ্রামীণ উন্নয়ন দফতরের মন্ত্রী, বাণিজ্যমন্ত্রী সহ একের পর এক দফতরের মন্ত্রী পরাজিত হয়েছেন।
বিজেপির ৭ এমপির পরিস্থিতি…
এবার বিজেপির প্রথম প্রার্থী তালিকায় ৭জন সাংসদের নাম ছিল। তার মধ্যে চারজন প্রার্থী বিপুল জয় পেয়েছেন। তিনজন এমপি পরাজিত হয়েছেন।
রাজাসামন্দের এমপি দিয়া কুমারী একেবারে বিরাট জয় পেয়েছেন। ৭০,০০০ ভোটে জয়ী হয়েছেন তিনি। জয়পুর গ্রামীণের এমপি রাজ্যবর্ধন রাঠোর ঝটওয়ারা আসন থেকে জয় পেয়েছেন। ৫০,০০০ ভোটে জয় পেয়েছেন তিনি।
রাজ্যসভার এমপি কিরোদি লাল মীনা সাওয়াই মাধোপুর আসন থেকে জয়ী হয়েছেন।
এভাবেই একের পর এক এমপি বিরাট জয় পেয়েছেন রাজস্থানের বিধানসভা ভোটে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ নারায়ণ বারেথ জানিয়েছেন, প্রতিষ্ঠান বিরোধিতার ভোটে পরাজিত হয়েছেন মন্ত্রীরা। তবে একের পর এক এমপি ভোটে পরাজিত হয়েছেন তার মূল কারণ হল বিজেপির নেতৃত্বকে মানতে পারেনি রাজস্থানের সাধারণ মানুষ।