ফের বিপাকে বিগ বস OTT ২ জয়ী এলভিস যাদব। নয়ডার সেই বিতর্কিত রেভ পার্টির পর থেকেই এই ঝামেলায় জড়ান এলভিস। এখন, গতবছর রেভ পার্টি থেকে সংগ্রহ করা নমুনাগুলির ফরেনসিক রিপোর্ট সামনে এসেছ। সেই রিপোর্ট বলছে সেগুলি আসলে কোবরা এবং কেউটে প্রজাতির সাপের বিষ।
গতবছর নয়ডার সেক্টর ৫১-এর এক পার্টিতে সাপের বিষ সরবরাহের অভিযোগ ওঠে ইউটিউবার, বিগ বস জয়ী এলভিশ যাদব সহ মোট ৬ জনের বিরুদ্ধে। তাঁদের বিরুদ্ধে বন্যপ্রাণী (সুরক্ষা) আইন ও ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০এ (অপরাধমূলক ষড়যন্ত্র) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়। FIR-এ নাম থাকা বাকি পাঁচজনকে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় এলভিসকে। এলভিস যদিও ওই বিতর্কিত পার্টিতে নিজে উপস্থিত ছিলেন না তবে ওই পার্টির জন্য বিষ সরবরাহ করার অভিযোগ রয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।
গত ৮ নভেম্বর (২০২৩) গ্রেফতার করা হয় এলভিসকে। পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদে এলভিস বলিউডের গায়ক ফাজিলপুরিয়ার নাম নেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় দুটি সাপের সঙ্গে উঠে আসা তাঁর এক ভিডিও সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে ইউটিউবারকে। এলভিস পুলিশকে জানান, ওই সাপগুলি বলিউড গায়ক দ্বারা সাজিয়ে রাখা হয়েছিল। ফাজিলপুরিয়া এনেছিলেন। এদিকে ফাজিলপুরিয়া বলেছিলেন আজ পর্যন্ত কোনও রেভ পার্টির সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক নেই।। তিনি জানান, সাপগুলি আসলে প্রযোজনা সংস্থার তরফে আনানো হয়েছিল। শুধুমাত্র মিউজিক ভিডিওর জন্য তিনি সাপগুলি আনার ব্যবস্থা করেছিলেন।
যদিও অভিযোগ ছিল সাপের বিষ নেশার জন্য ব্যবহার করা হচ্ছে। আর এই সন্দেহে রেভ পার্টিতে অভিযান চালায় পুলিশ।পুলিশ পাঁচটি কোবরা, দুটি দু-মাথা সাপ, একটি অজগর এবং একটি লাল সাপ উদ্ধার করে। ২এমএল বিষও উদ্ধার করা হয়। পিপল ফর অ্যানিমেলস নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার স্টিং অপারেশনের ভিত্তিতে এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এদিকে সম্প্রতি এক রেস্তোরাঁয় এক ব্যক্তিকে চড় মেরে বিতর্কে উঠে এসেছিলেন। সেই ভিডিয়োটি সোশ্যাল মিডিয়ায় উঠে আসে। এলভিশ বলেন, ‘আমি মারামারি বা কাউকে চড় মারতে আগ্রহী নই। তবে কেউ যদি আমার ব্যক্তিগত বিষয়ে মন্তব্য করে তাঁদের আমি ছেড়ে দিই না।’