গত অক্টোবর মাসে আচমকাই দুনিয়া ছেড়ে চলে যান ফ্রেন্ডস-খ্যাত অভিনেতা ম্যাথিউ পেরি। লস অ্যাঞ্জেলেসে নিজের বাড়ির সুইমিং পুলেই অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায় বছর ৫৪র জনপ্রিয় অভিনেতাকে। ম্যাথিউ পেরির এমন আচমকা মৃত্যু নিয়ে কিছু কম জলঘোলা হয়নি। ঠিক কী কারণে অভিনেতার মৃত্যু হয়েছে? অবশেষে সামনে এসেছে সেই মেডিক্যাল রিপোর্ট।
কী আছে সেই রিপোর্টে?
জানা যাচ্ছে, নিষিদ্ধ মাদক কেটামাইন ওভারডোজের কারণে মৃ্ত্যু হয়েছে ম্যাথিউ পেরির। এছাড়াও গত ১ বছর ধরে একাধিক শারীরিক সমস্যাতেও ভুগছিলেন তিনি। যদিও গত এক বছরে অভিনেতা মাদকাসক্তি থেকে নিজেকে দূরেই রেখেছিলেন বলেই জানা যাচ্ছে। তবে তারপরেও ফের কেটামাইন ওভারডোজের কারণেই মৃত্যু হল অভিনেতা ম্যাথিউ পেরির। ফ্রেন্ডস-খ্যাত অভিনেতার মৃত্যুতে মর্মাহত তাঁর অনুরাগী ও শিল্পী বন্ধুরা।
লস অ্যঞ্জেলেস কাউন্টি মেডিকেল এক্সামিনারের অফিস থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘ম্যাথিউ পেরির মৃত্যুর কারণ কেটামিনের তীব্র প্রভাব থেকে হয়েছে।’ 'অভিনেতার মৃত্যুর অন্যতম কারণ হল তিনি জলে ডুবে গিয়েছিলেন এছাড়াও করোনারি ধমনী রোগ এবং বুপ্রেনরফাইন প্রভাব রয়েছে। তবে মূলত দুর্ঘটনার কারণেই মৃত্যু হয়েছে ম্যাথিউ পেরির।
প্রসঙ্গত, কেটামিন ড্রাগ অবৈধভাবে অচৈতন্য করতে এবং বিনোদনমূলক হ্যালুসিনোজেনিক প্রভাবের জন্যও অনেকে ব্যবহার করে থাকেন। অনেকক্ষেত্রে এই ড্রাগটি চিকিৎসকরা চেতনানাশক হিসাবেও ব্যবহার করে থাকেন। অনেকক্ষেত্রে আবার গবেষকরা মানসিক স্বাস্থ্যের চিকিৎসার জন্যও এই মাদক ব্যবহার করে থাকেন। এর আগে অভিনেতা পেরি তাঁর স্মৃতিচারণে লিখেছিলেন যে তিনি কীভাবে এই আসক্তির সঙ্গে লড়াইয়ের সময় প্রতিদিন কেটামাইন ব্যবহারের উপর নির্ভর করে ছিলেন।
এর আগে পেরি বলেছিলেন যে ড্রাগটি তাঁর ব্যথা কমিয়েছে এবং অবসাদে সহায়তা করেছে। তাঁর কথায় ‘এই ড্রাগের সঙ্গে আমার নাম লেখা আছে - এটাকে ম্যাটিও বলা যেতে পারে।’ তিনি লিখেছেন, কেটামাইন, কে নেওয়া একটা বিশাল সুখী বেলচা দিয়ে মাথায় আঘাত করার মতো। কিন্তু এর হ্যাংওভারটি রুক্ষ ছিল যা বেলচাকে ছাড়িয়ে গিয়েছিল।'
তবে কীভাবে বা কখন পেরি কেটামিনের মারাত্মক ডোজ সেবন করেছিলেন তা রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়নি। তেবে তার পেটে এই মাদক সনাক্ত করা হয়েছে,এবং প্রেসক্রিপশনের ওষুধ এবং বেশকিছু বড়ি তার বাড়িতে পাওয়া যায়। জানা যাচ্ছে পেরি কেটামিনের সঙ্গে জড়িত চিকিৎসার মধ্যে যাচ্ছিলেন।
রিপোর্চে বলা হয়েছে পেরির রক্তে যে কেটামিন পাওয়া গিয়েছে, তা সার্জারিতে চেতনানাশক হিসাবে ব্যবহৃত উচ্চ-পরিসরের মাত্রার সঙ্গে তুলনীয়। যা হৃদপিণ্ডের অতিরিক্ত উদ্দীপনা এবং শ্বাসকষ্টের কারণ হয়। এর ফলে পেরি অজ্ঞান হয়ে যেতে পারেন, আর তাই হয় ডুবে গিয়ে তাঁর মৃত্যু হয়েছে।