কথাতেই আছে, দুই অভিনেত্রী কখনও বন্ধু হতে পারে না একে-অপরের। আর এবারে ঝগড়া লাগব একেবারে মনোকিনি নিয়ে। বুঝতে পারলেন নিশ্চয়ই সাঁতারের পোশাকের কথা হচ্ছে। অভিনেত্রীদের চুলোচুলি-র বরাবরই হট নিউজের মতো বিক্রি হয়। সকালের ধোঁয়া ওঠা চায়ের কাপের সঙ্গে প্রিয় টপিক হয় আট থেকে আশির। এবার টলিউডের দুই নায়িকার মতোভেদ কে প্রথম পর্দায় আসবেন মনোকিনিতে।
চলুন একটু খুলেই বলা যাক! কথা হচ্ছে আয়েন্দ্রি রায় আর মিশমি দাসের। এইমুহূর্তে জি বাংলার জনপ্রিয় ধারাবাহিক ফুলকিতে দেখা যাচ্ছে আয়েন্দ্রিকে। সঙ্গে কালার্স বাংলার সোহাগ চাঁদ ধারাবাহিকেও কাজ করছেন তিনি। আর খেলনাবাড়িতে অভিনয় করছেন মিশমি।
সম্প্রতিই লাল মনোকিনিতে একটি ছবি শেয়ার করেন আয়েন্দ্রি। ক্যাপশনে লেখেন, ‘নতুন কিছু শুরু করা সবসময়ই ভালো। টেলিভিশনে মনোকিনি নিয়ে আসার পথিকৃৎ হলাম। মল্লিকা আসছে আপনাদের মাথা ঘোরাতে। কালার্স বাংলায় দেখতে থাকুন সোহাগ চাঁদ।’
আর এই পোস্টের জবাবেই মিশমি লিখলেন, ‘স্টার জলসার একটা শো জীবন জ্যোতির জন্য আগেই এই কাজ করে ফেলেছি আমি। যদিও তোমাকে খুব সুন্দর লাগছে।’ মিশমির এই কমেন্টে কোনও উত্তর দেননি আয়েন্দ্রি।
তবে আয়েন্দ্রিকে মনোকিনিতে দেখে কিন্তু বাক্যহারা নেটিজেনরা। রেড হার্ট আর ফায়ার ইমোটিকনে ভরে গিয়েছে কমেন্ট বক্স। মন্তব্য করতে দেখা গেল অভিনেতা সায়ককেও।
প্রসঙ্গত, মিশমি বরাবরই বিকিনি আর মনোকিনিতে ছবি শেয়ার করে থাকেন সোশ্যালে। অভিনেত্রী প্রায়ই ধরা দেন গোয়ার সমুদ্রতটে। মাঝে ‘আমাদের এই পথ যদি না শেষ হয়’ ধারাবাহিকে কাজ করার সময় মাস ছয় কাজের থেকে বিরতি নিয়ে প্রাক্তন প্রেমিকের সঙ্গে একটানা থেকেও এসেছিলেন গোয়াতে। তবে চলতি বছরে খবর পাওয়া যায়, প্রেমিক বিশাল ভনের সঙ্গে বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁর।
বিকিনিতে ছবি পোস্ট করায় একাধিক সময়ে নেটপাড়ায় কটাক্ষের মুখে পড়তে হয়েছে মিশমিকে। যদিও বন্ধও করেছেন ট্রোলারের মুখ। কখনও তাঁর ছবিতে ‘অপুষ্টির শিকার’ বলে চিন্তা জাহির করেছে লোকজন। তাঁদের দাবি, ‘অপুষ্টিতে ভুগছেন তো। একটু ভালো করে খাওয়া দাওয়া করুন’। মাঝে একটি পোস্ট করেন তিনি এই ট্রোলারদের উদ্দেশে। বিকিনি পরেই এসেছিল একটি ভিডিয়ো। সমুদ্রের নোনা জলে ভেজা চুল এলিয়ে সাদা বালির উপর দিয়ে হেঁটে আসছেন। এরপর এক পাক ঘুরে ফ্লন্ট করলেন পিঠের ‘চক্র’ ট্যাটু। আর নিন্দকদের উদ্দেশে মিশমির বার্তা, ‘কাউকে নিজের শরীরকে ঘৃণা করতে বলে আপনি তাঁকে শরীরের প্রতি যত্ন নিতে উৎসাহ দিতে পারেন না’। সঙ্গে হ্যাশট্যাগে জুড়ে ছিলেন ‘বডি শেমিং বন্ধ হোক’, ‘রোগা বললেও সেটা বডি শেমিং করা’-র মতো শব্দবন্ধ।