অবশেষে এল সেই শুভক্ষণ। রীতি মেনেই সাতপাকে বাঁধা পড়লেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। ১৯ এপ্রিল, শুক্রবার গোধূলি লগ্নে হল রাতুল-রূপাঞ্জনার বিয়ে। বিয়ের সাজে একে অপরের গলায় মালা পরালেন রাতুল-রূপাঞ্জনা। হ্যাঁ, তাঁদের মালাবদল সম্পন্ন হয়েছে।
রাতুল-রূপাঞ্জনার মালাবদলের মুহূর্ত উঠে এসেছে টলিউড অনলাইনের সোশ্যাল মিডিয়ায়। পরনে সিঁদুর রঙা বেনারসি, সঙ্গে সবুজ ব্লাউজ, মাথায় গোলাপী ওড়না আর গায়ে গয়না, এক্কেবারেই নববধূর সাজ। অন্যদিকে বাঙালি বরের মতোই বিয়ের সময় সাদা ধুতি, আর গেঞ্জিতে দেখা গেল রাতুলকে। রজনীগন্ধা, গোলাপ, অর্কিড সহ নানান রঙের ফুলদিয়ে তৈরি মালা তাঁরা একে অপরের গলায় পরিয়ে দিলেন। সকলেই তখন ওলুধ্বনি দিলেন, সেই শুভক্ষণে মায়ের বিয়ের মুহূর্তের সাক্ষী থাকল ছেলে রিয়ান। তাঁরও পরনে ছিল মায়ের সঙ্গে ম্যাচিং সিঁদুর রঙা পাঞ্জাবি।
মালাবদলের মুহূর্তে হাসিখুশি ধরা দিলেন নব-দম্পতি। রূপাঞ্জনা যখন তাঁকে মালা পরাতে গেলেন, তখন ক্ষণিক মজা করে প্রথমটা মাথা উঁচু করে নিচ্ছিলেন রাতুল। তবে শেষমেষ সেই মালা তাঁকে পরতেই হল। আপনারাও সাক্ষী থাকুন সেই সুন্দর মুহূর্তের….
রূপাঞ্জনা-রাতুলের বিয়ের অনুষ্ঠানে উপস্থিত তাঁদের পরিবার ও একান্ত ঘনিষ্ঠ বন্ধুরা। এদিন সকাল থেকে সনাতন রীতি মেনেই হয়েছে রাতুল-রূপাঞ্জনার বিয়ের সমস্ত আচার-অনুষ্ঠান। সকালে নিজের দক্ষিণ বাড়িতেই নান্দিমুখের অনুষ্ঠান হয় তাঁদের।
বিয়ের সকালে রূপাঞ্জনা পরেছিলেন হালকা সবুজ রঙের শাড়ি। সঙ্গে ছিল ফ্লেয়ার্ড হাতার ফ্লোরাল প্রিন্টের হলুদ রঙের ব্লাউজ। চুলটাকে কার্ল করে খুলে রেখেছিলেন। হাতে শাঁখা পলা পরা তাঁর।অন্যদিকে রাতুল পরেছিলেন পিচ রঙের পঞ্জাবি এবং সাদা পায়জামা। বাড়িতেই নান্দিমুখের অনুষ্ঠান হয় তাঁদের। রাতুল যখন মন্ত্র পড়ে নিয়ম আচার পালন করছিলেন তখন পিছনেই বসে থাকেন রূপাঞ্জনা।
দীর্ঘ দিন ধরেই সম্পর্কে আছেন রাতুল এবং রূপাঞ্জনা। রাতুল অভিনেত্রীর থেকে ৬ বছরের ছোট। বর্তমানে রূপাঞ্জনা, রাতুল এবং অভিনেত্রীর ছেলে একসঙ্গেই থাকেন। দক্ষিণ কলকাতায় একটি ফ্ল্যাটও কিনেছেন তাঁরা। বহুদিন সম্পর্কের থাকার পর এদিন তাঁরা সাতপাকে বাঁধা পড়লেন। আর মায়ের বিয়ের সাক্ষী থাকল, তাঁর হৃদয়ের সবথেকে কাছের মানুষ, তাঁর ছেলে।