স্তনে পিণ্ড হওয়া স্তন ক্যানসারের একটি নির্দিষ্ট লক্ষণ। এটি স্পর্শ করলেই বোঝা যায়। বেশিরভাগ সময়ই হয়ত স্তন ক্যানসারে, কোনও পিণ্ড বা অসম কোষের বৃদ্ধি হয় না। যার কারণে আপনি প্রায়শই আপনার রোগ সম্পর্কে বুঝতে পারেন না। এই ধরনের ক্যানসারে আক্রান্ত হলে পিণ্ড ছাড়াও কিছু অতিরিক্ত উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
এই লক্ষণগুলি সম্পর্কে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জানা যায়, ততই ভালো। এটি শরীরের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে পড়ার আগেই এর বৃদ্ধি বন্ধ করার জন্য চিকিৎসা শুরু করা প্রয়োজন। এই নিবন্ধে, আমরা আপনাকে স্তন ক্যানসারের ৪টি লক্ষণ সম্পর্কে বলছি, যার মাধ্যমে আপনি বুঝতে পারবেন যে আপনার এই মারাত্বক রোগটি হয়েছে কিনা এবং সময়মতো আপনার চিকিৎসাও করাতে পারবেন।
স্তনের ত্বকে পরিবর্তন
আপনি যদি স্তন ক্যানসারে আক্রান্ত হন তবে আপনি আপনার স্তনের ত্বকের গঠনের পরিবর্তনও লক্ষ্য করতে পারেন। এটি ক্যানসার কোষের বৃদ্ধিতে প্রদাহের কারণে ঘটে। এতেও ত্বকের রঙের পার্থক্য হতে পারে। কিছু জায়গায় পুরুভাবেও দেখা দিতে পারে। এমনকি স্তনে একজিমা এবং ডার্মাটাইটিসও বিরল ধরনের স্তন ক্যানসারের লক্ষণ হতে পারে।
স্তনবৃন্ত স্রাব
স্তনবৃন্ত থেকে কোনো ধরনের স্রাব হওয়া স্বাভাবিক নয়। সাধারণত, স্তন ক্যানসারের ক্ষেত্রে, স্তনবৃন্ত থেকে হলুদ, সবুজ বা লাল রঙের তরল স্রাব হয়। আপনি যদি আপনার শিশুকে বুকের ব্রেস্ট ফিডিং করান এবং তারপরও এটি নিঃসৃত হয়, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। সমস্ত স্তনের স্রাব ক্যানসারের কারণে হয় না, তবুও নিশ্চিত হওয়ার জন্য একবার ডাক্তারের সঙ্গে কথা বলা ভাল।
স্তনে ব্যাথা
যদিও স্তন ক্যানসার ব্যথাহীন, তবে কখনও কখনও এই রোগে ভুগলে স্তন এবং স্তনবৃন্তে ব্যথা হতে পারে। এটি স্তনকে নরম করে, পাশাপাশি ব্যথা এবং অস্বস্তির কারণও হতে পারে। এই লক্ষণগুলি উপেক্ষা না করে নিশ্চিত হওয়ার জন্য আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করা ভাল, যাতে সময়মতো চিকিত্সা করা যায়।
লালভাব এবং ফোলাভাব
স্তন ক্যানসারে, আপনার ত্বক ক্ষতবিক্ষত এবং ফোলা দেখাতে পারে। ত্বক লাল, বেগুনি বা নীল দেখাতে পারে। অবিলবে এ বিষয়ে আপনার ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করুন। দেখুন স্তনে ফোলা ভাবের পাশাপাশি ঘা হওয়ার লক্ষণগুলি রয়েছে কিনা।
মনে রাখবেন, নিয়মিত স্তন পরীক্ষা স্তন স্বাস্থ্যের জন্য ব্যাপক উপকারি। এছাড়াও ক্লিনিকাল স্তন পরীক্ষা এবং ম্যামোগ্রামও জরুরি। এই বিষয়ে আপনার মনে যদি কোন উদ্বেগ বা প্রশ্ন থাকে, অবশ্যই পেশাদার ডাক্তারের পরামর্শ নিন।