মুখের থেকে আসা দুর্গন্ধের সমস্যায় যদি আপনিও ভুগে থাকেন তাহলে এখনই সাবধান হয়ে যান। নীচের টোটকাগুলি মেনে চললে কিছুটা উপকার পাবেন-
1/7অনেকেই মুখে গন্ধ হওয়ার সমস্যায় ভোগেন। এমনকী এর ফলে নতুন মানুষের সামনে দাঁড়িয়ে কথা বলতেও ভয় পান তাঁরা। নানা কারণে মুখে গন্ধের সমস্যা হতে পারে। অপরিষ্কার থাকার কারণেও যেমন এই গন্ধ আসে, তেমনই দাঁত, দাঁতের গোড়া, মাড়ি, জিভ, মুখগহ্বরের কোনও রকম সংক্রমণ হলেও মুখে দুর্গন্ধ হয়।
2/7দীর্ঘসময় ধরে না খেয়ে থাকলেও মুখ থেকে গন্ধ বের হয়। এছাড়া নিয়মমতো মুখ ও দাঁতের পরিচর্যা না করাও এতটা বড় কারণ। অনেকসময় জিভ পরিষ্কার না করার কারণে জিভের উপরে সালফারের প্রলেপ পড়ে মুখে দুর্গন্ধের সৃষ্টি হয়। তবে নিজে একটু সাবধান হলেই এই লজ্জাজনক অবস্থা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। সঙ্গে অবশ্যই অবস্থা বাড়াবাড়ি হলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
3/7খাবার খাওয়ার ৩০-৬০ মিনিট আমাদের অপেক্ষা করতে হবে। তারপর ব্রাশ করা উচিত দুবেলা। খাবারের পরপরই মুখের PH এসিডিক থাকে, তখন ব্রাশ করার ফলে এনামেলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সঙ্গে ব্যবহার করতে হবে অ্যান্টি মাইক্রোবিয়াল মাউথ ওয়াশ। দিনে অন্তত ১ বার ১ বার ডেন্টাল ফ্লস ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। জিভও নিয়মিত পরিষ্কার করে নিতে হবে।
4/7এক গ্লাসে গরম জলে আধ চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে ভাল করে কুলকুচি করে মুখ ধুয়ে নিন। বেকিং সোডা দিয়ে দাঁত মাজলেও উপকার পাবেন। তবে এটা কখনই সপ্তাহে দু থেকে তিনদিনের বেশি করা উচিত নয়।
5/7যারা মুখের দুর্গন্ধের সমস্যায় ভুগছেন তাঁরা হাতের কাছে সবসময় কয়েকটা লবঙ্গ রাখুন। মাঝে মাঝে চিবোতে থাকলে লবঙ্গের রস মুখের দুর্গন্ধ দূর করবে। এক কাপ জলে এক চা চামচ লবঙ্গ দিয়ে পাঁচ থেকে ১০ মিনিট ফুটিয়ে নিন। দিনে দু’বার এই লবঙ্গ চা খান। তাহলেও উপকারে আসবে।
6/7অত্যধিক ধূমপান বা তামাকজাত দ্রব্যের নেশা থাকলে তা থেকেও মুখে দুর্গন্ধ হয়। সেক্ষেত্রে ধূমপান যত দ্রুত ত্যাগ করতে পারেন ততই ভালো। এছাড়া ধূমপানের পর মাউথ ফ্রেশনার বা মৌরি জাতীয় কিছু খাওয়া যেতে পারে।
7/7জল বেশি করে খান। জল মুখের মধ্যে থাকা খাবারের কণা এবং অতিরিক্ত ব্যাকটেরিয়া ধুয়ে ফেলতে সাহায্য করে। এছাড়া মুখ শুকনো হয়ে গেলেও মুখে দুর্গন্ধ হয়। তাই বারবার জল পান করুন।