ব্রেনে যখন রক্ত এবং অক্সিজেন পৌঁছয় না তখন স্ট্রোক হয়। রক্ত আর অক্সিজেন ব্রেনে না পৌঁছানোর অর্থ হল সেখানে থাকা নার্ভগুলোর মৃত্যু হওয়া। আর এটা হতে তিন থেকে চার মিনিট সময় নেয় মাত্র। স্ট্রোক হলে একাধিক জটিলতা তৈরি হতে পারে। মানসিক এবং শারীরিক দই রকমের জটিলতা হতে পারে।
স্ট্রোক হলে রোগীর হঠাৎ অসম্ভব মাথা ব্যথা হতে পারে। সঙ্গে কথা জড়িয়ে যাওয়া, শরীরের যে কোনও একদিক অসাড় হয়ে যাওয়া, হাঁটতে বা কথা বুঝতে হওয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। স্ট্রোক এমন একটা রোগ যা হওয়া মাত্রই তৎক্ষণাৎ চিকিৎসার দরকার হয়। স্ট্রোকের বিষয়ে আজ বিশ্ব স্ট্রোক দিবসের দিন কিছু তথ্য জেনে নিন।
স্ট্রোকের লক্ষণ কী?
১. কথা জড়িয়ে যাওয়া আচমকা। বা হঠাৎই শরীর দুর্বল হয়ে পড়বে। শরীরের এক দিক অসাড় হয়ে যাবে।
২. খাবার খেতে, গিলতে সমস্যা হবে। কথা বুঝতেও সমস্যা হবে।
৩. মাথা হালকা হয়ে যাওয়া, অচৈতন্য ভাব আসা।
৪. সব কিছু দুটো দুটো দেখা, দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে আসা, ইত্যাদির মতো সমস্যা হতে পারে।
৫. অসম্ভব মাথা ব্যথা, বমি ভাব।
৬. মুখের দিক বেঁকে যেতে পারে স্ট্রোক হলে।
কাদের স্ট্রোক থেকে ভয় রয়েছে?
যাঁদের হার্টের অসুখ আছে, বয়স ৫০ এর বেশি, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করেন, ডায়াবিটিস আছে, ধূমপান এবং মদ্যপান করেন যাঁরা তাঁদের স্ট্রোক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি এবং রিস্ক বেশি।
স্ট্রোক হলে কী হয়?
স্ট্রোক হলে দৈনন্দিন জীবনের কাজ করা সম্ভব হয়ে দাঁড়ায়। প্যারালাইসিস হতে পারে। ছোটখাট রোগ হলে সমস্যা হয় না। কিন্তু স্ট্রোক যদি মেজর হয় তাহলে স্বাভাবিক জীবনে, কাজের ফেরা এক প্রকার মুশকিল হয়ে দাঁড়ায়।
স্ট্রোক হলে এর চিকিৎসা কী?
কেমন ধরনের স্ট্রোক হয়েছে তার উপর নির্ভর করে চিকিৎসা পদ্ধতি। অক্সিজেন এবং আইভি ফ্লুইড দিতে হতে পারে। রক্ত জমাট বাঁধা ছাড়ানোর জন্য আইভি ক্লট বার্স্টিং ওষুধ দিতে পারে। রক্ত পাতলা করার ওষুধ সহ একাধিক উপায়ে চিকিৎসা করা যেতে পারে স্ট্রোকের।