আর কয়েকদিন পরে বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচন হবে। এই নির্বাচনকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই জোর কদমে প্রস্তুতি চলছে বাংলাদেশে। সেই নির্বাচনী লক্ষ্যে ইস্তাহার প্রকাশ করল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দল আওয়ামী লীগ। এবার তাদের লক্ষ্য হল স্মার্ট বাংলাদেশ গঠন করা। বৃহস্পতিবার ঢাকার একটি পাঁচতারা হোটেলে ইস্তাহার প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
আরও পড়ুন: ভোটের দিনেও হরতালের ডাক বিএনপি-র, সন্ত্রাসবাদী দল বললেন হাসিনা
এবার আওয়ামি লিগের স্লোগান হল, ‘উন্নয়ন দৃশ্যমান, বাড়বে এবার কর্মসংস্থান।’ এদিন শেখ হাসিনা ইস্তাহার প্রকাশ করে জানান, ১৫ বছরে যদি ভুল ত্রুটি হয়ে থাকে সেই দায়িত্ব সরকারের। আর সাফল্যের কৃতিত্বের জন্য সাধারণ মানুষই দায়ী। তবে অতীতের ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে ভবিষ্যৎকে আরও ভালোভাবে গড়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন শেখ হাসিনা। ১০৮ পাতার নির্বাচনী ইস্তাহারে ভারতের সঙ্গে আরও ভালো সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপরেও জোর দিয়েছেন শেখ হাসিনা। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়ানো, আন্তঃসীমান্ত সংযোগ, শক্তির অংশীদারিত্ব এবং ন্যায়সঙ্গত জল বণ্টনের মতো ক্ষেত্রে ভারতের সঙ্গে সহযোগিতা করার নীতির রূপরেখা দেওয়া হয়েছে এই ইস্তাহারে। তাতে বলা হয়েছে, সরকার ভারতের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য ও নিরাপত্তা সহযোগিতা অব্যহত রাখবে। সাম্প্রতিক সময়ে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে।
এর পাশাপাশি, বৈদেশিক নীতির ক্ষেত্রে আওয়ামি লীগের লক্ষ্য হল জ্বালানি খাত সম্প্রসারণের জন্য রাশিয়ার সঙ্গে দৃঢ় বন্ধুত্ব গড়ে তোলা। চিনের সঙ্গে সম্পর্কের বিষয়ে ইস্তাহারে উন্নয়ন ও অর্থায়নের ক্ষেত্রে সম্পর্ক জোরদার করার কথা বলা হয়েছে। এশিয়া মহাদেশের দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্ক জোরদার করার পাশাপাশি অস্ট্রেলিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলির সঙ্গে আরও ভাল এবং ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তোলার কথা ইস্তাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া, দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখা এবং কর্মসংস্থানের কথা আওয়ামি লিগের ইস্তাহারে জানানো হয়েছে। অভ্যন্তরীণ ক্ষেত্রে একাধিক উন্নয়নের কথা ইস্তাহারে তুলে ধরা হয়েছে। যার মধ্যে ঢাকার মেট্রো রেল, পদ্মা সেতু তৈরি, চট্টগ্রামে কর্ণফুলি নদীর নিচ দিয়ে সুড়ঙ্গ পথ প্রকৃতির কথা উল্লেখ করা হয়েছে।