বন্ধুর পোষ্য কুকুরকে বাঁচাতে গিয়ে জলে ডুবে মৃত্যু হল ভোপাল এনআইটি-এর বি-টেক স্নাতকের। কুকুরটি সাঁতরে নিরাপদে পাড়ে চলে গেলেও সরল নিগম জলে ডুবে মারা যায়। ২৩ বছর বয়সী সরল বাবা-মার একমাত্র সন্তান ছিলেন এবং ম্যানিত থেকে ইঞ্জিনিয়ারিং ডিগ্রি অর্জনের পর ইউপিএসসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
তদন্তকারী আধিকারিক এএসআই অন্তরাম যাদব জানিয়েছেন, সরল দুই মহিলা বন্ধুর সঙ্গে কেরওয়া বাঁধ এলাকার জঙ্গল ক্যাম্পে সকালের হাঁটার জন্য গিয়েছিলেন। একটি মেয়ে তার পোষ্য কুকুরটিকে সঙ্গে নিয়ে গিয়েছিল। চিত্রানুগ বাঁধটি শহরের কেন্দ্র থেকে মাত্র ১০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত এবং একটি ঘন জঙ্গলে ঘেরা অঞ্চল।
প্রায় সাড়়ে আটটা নাগাদ, তিনজনই বাঁধের নীচের দিকে জলাশয়ের পাশে হাঁটছিল, যখন কুকুরটি জলে পড়ে যায়। এএসআই যাদব বলেন, তাঁরা কুকুরটিকে বাঁচানোর সিদ্ধান্ত নেয়। তারা একে অপরের হাত ধরে জলে নেমে কুকুরের কাছে পৌঁছনোর চেষ্টা করে। কিন্তু জলে স্রোতে পা হড়কিয়ে জলাশয়ে পড়ে যায়। মেয়েরা তীরে পৌঁছাতে সক্ষম হলেও, স্রোতে সরল গভীর জলে ভেসে যায়।
(পড়ুন। শ্লীলতাহানি থেকে বাঁচতে গুজরাটে চলন্ত গাড়ি থেকে ঝাপ দিল ৫ ছাত্রী, গ্রেফতার ১)
মেয়েগুলি সাহায্যের জন্য চিৎকার করতে করতে রাস্তায় ছুটে আসে। জঙ্গল ক্যাম্পের প্রহরী দৌড়ে গিয়ে সরলকে আর দেখতে পায়নি। তারা রতিবাদ পুলিশকে খবর দেয়। ডুবুরি এবং এসডিইআরএফ-সহ পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছয় কিন্তু সরলের কোনও চিহ্ন পাওয়া যায়নি। এক ঘণ্টা পর তাঁর মৃতদেহ পাওয়া যায়।
পুলিশ জানিয়েছে, তিনি ১০-১৫ ফুট জলে ডুবে মারা গিয়েছেন। এই তাঁর বাবা-মা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছেন। সরলের বাবা সুধীর নিগম একটি বেসরকারি ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে অবসর গ্রহণ করেন। চুনাভট্টির একই পাড়ায় বসবাসকারী মেয়েরাই সরলের সঙ্গে গিয়েছিল।
সরলের দেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। পুলিশ এই ঘটনার তদন্ত শুরু করছে।