লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসতেই আরও সক্রিয় হচ্ছে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলি। বিশেষ করে অ-বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে কেন্দ্রীয় এজেন্সি অত্যাধিক সক্রিয় বলে অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। ঠিক সেই আবহে এবার কংগ্রেস শাসিত তেলাঙ্গানার এক মন্ত্রীর ছেলেকে সমন পাঠালো শুল্ক দফতর। চেন্নাইয়ের শুল্ক আধিকারিকরা তেলাঙ্গানার মন্ত্রী পঙ্গুলেতি শ্রীনিবাস রেড্ডির ছেলে পঙ্গুলেতি হর্ষ রেড্ডিকে সমন পাঠিয়েছে। অভিযোগ, তিনি ১.৭ কোটি টাকার দুটি বহুমূল্য ঘড়ি কিনেছিলেন যেগুলি হংকং থেকে সিঙ্গাপুর হয়ে পাচার করা হয়েছিল। আর এই নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: ‘আমাকে বশ্যতা স্বীকার করানোর চেষ্টা হচ্ছে’, কেন্দ্র ও এজেন্সিকে তোপ অভিষেকের
শুল্ক দফতরের দাবি, গত ৫ ফেব্রুয়ারি সিঙ্গাপুর থেকে ফিরে আসা বহুমূল্য ঘড়ির ডিলার মহম্মদ মুবিনের কাছ থেকে ঘড়িগুলি বাজেয়াপ্ত করা হয়। চেন্নাই কাস্টমস আধিকারিকদের মতে , ঘড়িগুলির মধ্যে একটি হল-পাটেক ফিলিপ ৫৭৪০ এবং অন্যটি হল- ব্রেগেট ২৭৫৯। এই ঘরিগুলি মুবিনের ব্যাগে লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। এয়ার ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কাছ থেকে তথ্য পেয়ে সেখানে অভিযান চালায় শুল্ক দফতর।
শুল্ক দফতরের দাবি, হর্ষ রেড্ডি একজন মধ্যস্থতাকারী এ নবীন কুমারের মাধ্যমে ঘড়িগুলি কিনেছিলেন। তিনি এই ঘরিগুলি মুবিনের কাছে অর্ডার করেছিলেন। আরও অভিযোগ, হাওয়ালা লেনদেন এবং ক্রিপ্টোকারেন্সি ক্রয় বিক্রয়ের সঙ্গে জড়িত নবীন কুমার ।
জানা গিয়েছে, হর্ষ রেড্ডির একটি পারিবারিক মালিকানাধীন রিয়েল এস্টেটের কোম্পানি রয়েছে। গত ২৮ মার্চ তাঁকে সমন পাঠানো হয়েছিল। তাঁর বক্তব্য রেকর্ড করার জন্য ৪ এপ্রিল শুল্ক দফতরের সামনে উপস্থিত হতে বলা হয়েছিল। তবে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হওয়ায় তিনি আরও সময় চেয়েছিলেন। এরপর তাঁকে ২৭ এপ্রিল শুল্ক দফতরে হাজির হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়। প্রাথমিকভাবে শুল্ক দফতরের অনুমান, কুমার ১০০ কোটি টাকারও বেশি দামের বহুমূল্য ঘড়ি পাচারের সঙ্গে জড়িত।
চেন্নাই কাস্টমস প্রিন্সিপাল কমিশনার (বিমানবন্দর কমিশনারেট) আর শ্রীনিবাস নায়েক জানান, যে তারা বহুমূল্য ঘড়ি পাচারের অন্যান্য ঘটনারও তদন্ত করছে। তিনি জানান, একটি স্থানীয় আদালত কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করেছে এবং তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। এই বিষয়ে হর্ষ রেড্ডিকে তলব করা হয়েছিল। হাজিরা এড়ানোয় ফের তাঁকে তলব করা হয়। এবিষয়ে মন্ত্রী শ্রীনিবাস রেড্ডি কোনও মন্তব্য করেননি। তিনি জানিয়েছেন, যা বলার তাঁর ছেলে এবিষয়ে পরে বলবেন।