দিল্লিতে সোনার দোকানে ভয়াবহ ডাকাতি হয়েছিল। ২৫ কোটি টাকার গয়না নিয়ে চম্পট দিয়েছিল দুষ্কৃতীরা। রাজধানীর বুকে বড় ঘটনা। তদন্তে নামে পুলিশ। এরপর সেই সময় সেই সোনার দোকান এলাকায় যত মোবাইল ছিল তার মধ্যে দুষ্কৃতীদের কোনটা সেটাই খুঁজে বের করার চেষ্টা করে পুলিশ।
প্রায় ৫০০০ মোবাইল নম্বর খতিয়ে দেখা শুরু করে পুলিশ। সেটা কি সহজ কথা! এরপর 96691792** এই নম্বরের ফোন নিয়ে সন্দেহ বাড়তে থাকে। এটা দিল্লির বাইরে থেকে নেওয়া। অজয় ভারওয়ে বলে একজনের নামে সিম।
এরপর দেখা যায় 77488785** এই নম্বরটাও সক্রিয় ছিল ওই এলাকায়। খবর টাইমস অফ ইন্ডিয়া সূত্রে। ১০ ও ১৭ অক্টোবরও এই দুই নম্বর সক্রিয় ছিল। এরপর ট্র্যাক করে পুলিশ জানতে পারে কাশ্মেরে গেট এলাকায় এটা সুইচ অন করা হয়েছিল। এরপর মধ্যপ্রদেশে। তারপর ছত্তিশগড়ে। এরপর শুরু হয় খোঁজ।এরপর মধ্য়প্রদেশ ও ছত্তিশগড়ের মধ্য দিয়ে শুরু হয় তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত খোঁজ মেলে দুষ্কৃতীদের।
এক পুলিশ আধিকারিকের কথায়, কাশ্মেরে গেট এলাকায় আমাদের টিম গিয়েছিল। কিন্তু ততক্ষণে বাসে চেপে বেপাত্তা হয়ে গিয়েছে দুষ্কৃতীরা। এরপর সাগরের পথে বাস ধরে দুষ্কৃতী। সেটা আবার নিজের নামে বুক করে সে। ভোগল মার্কেটে যে ফুটেজ মেলে তার সঙ্গে আইএসবিটির ফুটেজ মিলে যায়। এরপর নিজামুদ্দিন থানা ও ক্রাইম ব্রাঞ্চ ছত্তিশগড়ে যায়। ততক্ষণে দুষ্কৃতীদের নাগাল পেয়ে গিয়েছে ছত্তিশগড় পুলিশ।
ছত্তিশগড় পুলিশ দিল্লিকে জানিয়েছিল তারা শিবা চন্দ্রবংশীকে ধরে ফেলেছে। এরপর উভয় পুলিশ কবীর ধাম এলাকায় যায়। কিন্তু সেখান থেকে শ্রীবাস পালিয়ে যায়। তবে চন্দ্রবংশীকে ধরে ফেলে পুলিশ। সে জানিয়ে দেয় শ্রীবাস শহরেই আছে। এরপর শুরু হয় ফের তল্লাশি। শেষ পর্যন্ত শ্রীবাসের খোঁজ পায় পুলিশ। তাকেও গ্রেফতার করা হয়। তবে এটা দিল্লি ও ছত্তিশগড় পুলিশের বড় সাফল্য। তাদের কাছ থেকে চুরি যাওয়ার গয়নার অনেকটাই বাজেয়াপ্ত করা হয়।