কুখ্যাত মাওবাদী জঙ্গি। নাম দুর্গেশ ওয়াত্তি। মাওবাদী ডেপুটি কমান্ডার ছিলেন তিনি। মহারাষ্ট্র-ছত্তিশগড় সীমান্তে বোধিনতলার গভীর জঙ্গলে কমান্ডোরা তাড়া করেছিল তাকে। অবশেষে নিকেশ করা হয়েছে ওই জঙ্গিকে। ২০১৯ সালে জাম্বুলখেড়া ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণে হাত ছিল এই জঙ্গিরই। সেই সময় মাইন বিস্ফোরণে মৃত্যু হয়েছিল ১৪জন নিরাপত্তারক্ষীর।
শুক্রবার জঙ্গলে অভিযান চালান কমান্ডোরা। এরপর শুরু হয় এনকাউন্টার। প্রায় ঘণ্টা খানেক ধরে চলে এই এনকাউন্টার। আরও দুজন গেরিলা জঙ্গির মৃত্য়ু হয়েছে বলে খবর। তবে তাদের দেহ উদ্ধার করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দুর্গেশের মাথার দাম ছিল ৮ লাখ টাকা। কিন্তু দিনের পর দিন ধরে তিনি গভীর জঙ্গলে লুকিয়ে থাকতেন বলে খবর। এদিকে ওই এলাকা থেকে এক ৪৭, অত্যাধুনিক বন্দুক, ওয়াকি টকি, ভোল্টমিটার, বিস্ফোরক মিলেছে।
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গড়চিরোলির এসপি কমান্ডোদের জঙ্গলে পাঠান। দুপুর দেড়টা নাগাদ এই এনকাউন্টার শুরু হয়। এদিকে সিআরপিএফকেও রাখা হয়েছিল ব্য়াক আপের জন্য। গভীর জঙ্গলে মাওবাদীরা ক্য়াম্প করে থাকছিল। সেখানেই হানা দেন কমান্ডোরা। কিছু বুঝে ওঠার আগেই শুরু হয় এনকাউন্টার।
এই দুর্গেশ মাওবাদীদের নেতৃত্ব দিতেন। ২০২১ সালে দীপক সহ অন্তত ২৬ গেরিলার মৃত্যুর পরে কিছুটা দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল মাওবাদীরা। এরপর ওই এলাকার রাশ ধরেন ওয়াত্তি। মনে করা হচ্ছে ছত্তিশগড় থেকে ওরা মহারাষ্ট্রে এসেছিল। সেখানেই ঘাঁটি গেড়েছিল। সম্ভবত বড় কোনও ছক ছিল ওদের। গভীর জঙ্গলে ক্যাম্প করেছিল ওরা। সঙ্গে ছিল আধুনিক অস্ত্র। কিন্তু তার আগেই নিকেশ করল কমান্ডো বাহিনী। তবে দুর্গেশের মৃত্যুর পরে ওই এলাকায় মাওবাদীরা অনেকটাই শক্তি হারাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে এবার ছত্তিশগড় গিয়েছে বিজেপির দখলে। তারপর থেকেই বিভিন্ন মহল থেকে বলা হচ্ছিল এবার মাওবাদীরা জোর ধাক্কা খেতে পারে। তবে এবার যে বাস্তবিকই মাওবাদী দমনে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হবে তা এদিনের ঘটনাতেই ক্রমেই প্রকাশ্যে আসছে।