আদানি ইস্যুতে সংসদে কয়েক মাস আগেই কার্যত তাঁর ভাষণে ঝড় তুলেছিলেন রাহুল গান্ধী। এরপর গড়ায় অনেকটা সময়। ২০২৪ লোকসভা ভোটের কয়েক মাস আগে, মারাঠা রাজনীতিতে শোরগোল ফেলে রাহুলদের কংগ্রেস শিবির ছেড়ে শিবসেনার শিন্ডে ক্যাম্পে যোগ দেন মিলিন্দ দেওরা। আর শিন্ডে ক্যাম্পে যোগ দিয়েই মিলিন্দ দেওরা একরাশ ক্ষোভ উগরে দিলেন রাহুল গান্ধীদের বিরুদ্ধে।
মহারাষ্ট্রের শিবসেনার শিন্ডে ক্যাম্পে যোগ দিয়ে মিলিন্দ দেওরা বলেন, ‘ কংগ্রেস ছাড়ার সিদ্ধান্ত খুব একটা সহজ ছিল না। যে পার্টির সঙ্গে দেওরা পরিবারের ৫৫ বছরের সম্পর্ক রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডের প্রয়োজন ভালো লোকজনের। এটা মতামত শিন্ডে ও লোকসভা সদস্য শ্রীকান্ত শিন্ডের যে, আমি যাতে তাঁর (একনাথ শিন্ডের) ভাবধারা বহন করে নিয়ে যাই। আমি কৃতজ্ঞ যে তাঁরা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন।’ এরপর কংগ্রেস নিয়ে কথা বলার সময় মিলিন্দ দেওরা বলেন,'আমি একটি কথা বলতে চাই। আমি কংগ্রেসের প্রতি এমন একটা সময় অনুগত ছিলাম যে সময় কংগ্রেসের সময় ভালো যাচ্ছিল না। আমি কংগ্রেস ২০০৪ সালে যোগ দিয়েছি। ১৯৬৮ সালে যখন কংগ্রেসে আমার বাবা যোগ দিয়েছিলেন, তখনের থেকে আমার ২০০৪ সালে যোগ দেওয়ার সময় খুব আলাদা। কংগ্রেস আর ইউবিটি যদি গঠনমূলক জিনিস, মেধা, ক্ষমতায় মন দেয় তাহলে আমি আর শিন্ডে একই সঙ্গে এই মঞ্চে থাকতাম না।'
একই সঙ্গে মিলিন্দ দেওরা বলেন, ‘মনমোহন সিং যখন ৩০ বছর আগে অর্থমন্ত্রী ছিলেন, তখন কংগ্রেস পার্টি অর্থনৈতিক সংস্কারের সূচনা করেছিলেন, কিন্তু এখন তাঁরা শিল্পপতি এবং ব্যবসায়ীদের গালিগালাজ দিচ্ছে এবং তাঁদের দেশবিরোধী বলে আখ্যায়িত করছে।’ এছাড়াও তিনি বলেন , ‘যে দল দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দিত, সেই দলই আজ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যা বলেন বা করেন তার বিরোধিতা করার দিকেই মনোনিবেশ করে।’ মিলিন্দ দেওরা বলেন, তিনি এই মুহূর্তে তিনি উন্নয়নের রাস্তায় হাঁটতে চান। উল্লেখ্য, কিছু মাস আগে সংসদে দাঁড়িয়ে আদানি ইস্যুতে মোদীকে তোপ দেন রাহুল। যদিও সেই প্রসঙ্গের কথা বলেননি মিলিন্দ। তবে, তিনি প্রচ্ছন্নভাবে তোপ দাগেন রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে, বলেই মনে করছেন অনেকে।