প্রাক্তন কংগ্রেসী প্রধানমন্ত্রীদের সোমবার নিশানা করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এমনকী জওহরলাল নেহেরু ও ইন্দিরা গান্ধীর প্রসঙ্গও উল্লেখ করেন মোদী। পরিবারবাদের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন মোদী। সব মিলিয়ে কংগ্রেসকে একহাত নিলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কংগ্রেস কখনওই ভারতবাসীর শক্তিকে বিশ্বাস করত না। তারা সবসময়ই নিজেদের শাসক হিসাবেই দেখতেন।
লাল কেল্লায় ভাষণ দিয়েছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। নেহেরুর সেই কথাকে তুলে এনে মোদী বলেন, নেহেরুজী একটা সময় বলেছিলেন, আমরা ইউরোপিয়ান, জাপানী, চাইনিজ, রাশিয়ানদের মতো কঠোর পরিশ্রম করি না। আমরা এটা ভেবেও দেখি না যে ওরা কোনও ম্যাজিকের মাধ্যমে উন্নতি পায়নি। ওরা কঠোর পরিশ্রম করে এই জায়গায় এসেছেন। আসলে এই কথাই বুঝিয়ে দেয় নেহেরু ভাবতেন ভারতবাসী হয়তো অলস, তাদের বুদ্ধি নেই। তাদের শক্তির উপর কোনও বিশ্বাস ছিল না কংগ্রেসের।
ইন্দিরা গান্ধীও আলাদা কিছু ভাবতেন এমনটা নয়। মোদী বলেন, ইন্দিরাজী একবার লাল কেল্লা থেকে বলেছিলেন, দুর্ভাগ্যবশত এটা আমাদের স্বভাব যে যখন কোনও ভালো কাজের মধ্য়ে প্রতিযোগিতা থাকে আমরা আত্মতুষ্টিতে ভুগি আর যখন বাধা আসে তখন আমরা আশা হারিয়ে ফেলি। মাঝেমধ্যে মনে হয় গোটা দেশ হার স্বীকার করে নিয়েছে। আর আজকের কংগ্রেসকে দেখে মনে হয়, ইন্দিরাজী দেশের মানুষকে কমজোরি বলে ভাবতেন, তবে তিনি কংগ্রেসের ভালো মূল্যায়ন করেছিলেন।
মোদী বলেন, এটা হল কংগ্রেস রাজ পরিবারের চিন্তাভাবনা ভারতবাসী সম্পর্কে। অন্যদিকে মুদ্রাস্ফীতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দুটি যুদ্ধ ও অতিমারি সত্ত্বেও আমরা দেশের মুদ্রাস্ফীতিকে নিয়ন্ত্রণ করেছি।
মোদী কংগ্রেসকে একহাত নিয়ে বলেন, ওরা সংসদকে শেষ করেছে, বিরোধীদের ও দেশকেও শেষ করেছে। আমি বিশ্বাস করি যে একটা শক্ত বিরোধী থাকা দরকার। দেশ দেখছে পরিবারবাদের রাজনীতি, কংগ্রেসকে নিজেও এর মুখোমুখি হতে হয়েছে।
ইন্ডিয়া জোটকেও খোঁচা দেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ওরা তো নিজেদেরই বিশ্বাস করেন না। ওরা কীভাবে অন্য মানুষকে বিশ্বাস করবেন? প্রসঙ্গত ইন্ডিয়া জোটের অন্দরে তুমুল ডামাডোল তৈরি হয়েছে। তৃণমূলের সঙ্গে বাংলায় কংগ্রেসের বিরোধ একেবারে তুঙ্গে। নীতীশ কুমারের দল জোট ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছে। এর জেরে ইন্ডিয়া জোট শেষ পর্যন্ত কতটা টিকবে তা নিয়ে প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।