ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসন পরবর্তী ইউক্রেন বনাম রাশিয়ার যুদ্ধ, গত অক্টোবর থেকে হামাস বনাম ইজরায়েল যুদ্ধের মাঝে এবার রণ হুঙ্কার উত্তর কোরিয়ার সর্বময় নেতা কিম জং উনের। চারিদিকের ভূরাজনৈতিক অবস্থা দেখে তাঁর দাবি, এবার যুদ্ধের জন্য তৈরি হওয়ার সময় এসে গিয়েছে।
কেসিএনএ নিউজ এজেন্সির খবর অনুযায়ী, কিম বলছেন, তাঁর দেশের আশপাশের যা ভূরাজনৈতিক অবস্থা, তার দিকে নজর রেখে এবার যুদ্ধের জন্য তৈরি হওয়ার পালা। উল্লেখ্য, সদ্য উত্তর কোরিয়ার মূল সেনা বিশ্ববিদ্যালয়ে পরিদর্শনের সময় সেদেশের সর্বময় নেতা একথা বলেন। কিম জং উনের বাবা কিম জংটুএর নামাঙ্কিত ‘কিম জং টু ইউনিভার্সিটি অউ মিলিটারি অ্যান্ড পলিটিক্স’ এ সদ্য পরিদর্শন করতে পৌঁছন কিম। তিনি বলেন, সেদেশে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ই সবচেয়ে উচ্চমাত্রার মিলিটারি শিক্ষা দিয়ে থাকে।
উত্তর কোরিয়ার কূটনীতি ও যুদ্ধ
প্রসঙ্গত, আমেরিকার বিরোধী শক্তি হিসাবে রাশিয়া তাবড় নাম হয়ে উঠতে বিশ্বে। এই পরিস্থিতিতে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গেও মার্কিন মুলুকের সখ্যতা সেভাবে যে নেই, তা বহু ক্ষেত্রে উল্লেখ্য। এই প্রেক্ষাপটে সদ্য ইউক্রেন-রাশিয়ার যুদ্ধে, উত্তর কোরিয়া রাশিয়ার পক্ষে সায় দিয়ে যাচ্ছে। শোনা যাচ্ছে, সেনা অস্ত্রে শক্তিধর উত্তর কোরিয়া রাশিয়াকে বেশ কিছু কৌশলগত প্রদেক্টে সাহায্য করেছে। কিমের মন্তব্য উল্লেখ করে কেসিএনএ বলছে, কিম দাবি করেছেন, তাঁর দেশ উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে কেউ শত্রুতা করতে এলে তাদের শেষ করতে পিছপা হবে না উত্তর কোরিয়া।
কী বলেছেন কিম?
বিশ্ববিদ্যালয়ে ভাষণের সময় কিমের মন্তব্য উল্লেখ করে কেসিএনএ বলছে, ‘ জটিল আন্তর্জাতিক পরিস্থিতি ... এবং উত্তর কোরিয়াকে ঘিরে অনিশ্চিত এবং অস্থিতিশীল সামরিক ও রাজনৈতিক পরিস্থিতির রূপরেখা তুলে ধরে তিনি বলেছিলেন যে এখন আগের চেয়ে আরও পুঙ্খানুপুঙ্খভাবে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত হওয়ার সময়।’ চলতি মাসে কিছুদিন আগেই, সেদেশের হাইপারসোনিক ইন্টারমিডিয়েট রেঞ্জ মিসাইল পরীক্ষা করার সময় গোটা বিষয়টি তত্ত্বাবধান করেন কিম জং উন। এই মিসাইল 'সলিড ফুয়েল' দ্বারা চলে। বিশ্লেষকরা বলছেন, এই নয়া মিসাইল উত্তর কোরিয়ার সামরিক শক্তি আরও কয়েক গুণ বাড়িয়ে দেবে। আর এই প্রেক্ষাপটে কিমের নয়া রণহুঙ্কার বেশ তাৎপর্যবাহী।