প্রজাতন্ত্র দিবসের দিন স্বামী-স্ত্রী একসঙ্গে হাঁটবেন কুচকাওয়াজে। ইতিহাসে এমন কোনও নজির নেই ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে। এবার নয়া ইতিহাস রচনা করতে চলেছেন মেজর জেরি ব্লেইজ এবং ক্যাপ্টেন সুপ্রীতা সি টি। দুটি আলাদা বাহিনীর সদস্য হিসাবেই কুচকাওয়াজে পা মেলাবেন মেজর জেরি ব্লেইজ এবং ক্যাপ্টেন সুপ্রীতা সি টি। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজের ইতিহাসে এর আগে কোনও দম্পতিকে একসঙ্গে অংশ নিতে দেখা যায়নি। ক্যাপ্টেন সুপ্রীতা অবশ্য জানান আলাদা করে কোনও পরিকল্পনা ছিল না একসঙ্গে হাঁটার, এই ঘটনা একেবারেই কাকতালীয় ও রুটিন মাফিক।
ক্যাপ্টেন সুপ্রীতা এই প্রসঙ্গে জানান, 'আমাদের কোনও পরিকল্পনা ছিল না। এটা একেবারেই কাকতালীয় ঘটনা। প্রাথমিকভাবে, আমি কুচকাওয়াজে অংশ নেওয়ার জন্য আমার নির্বাচন পরীক্ষা দিয়েছিলাম এবং পাস করি। তারপর আমার স্বামীও তাঁর রেজিমেন্ট থেকে নির্বাচিত হয়েছেন।' অন্যদিকে মেজর ব্লেইজ বলেছেন, ‘আমার স্ত্রী ২০১৬ সালে নয়াদিল্লির কর্তব্য পথে এনসিসির হয়ে প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে অংশ নিয়েছিল। আমিও ২০১৪ সালে এনসিসির প্রজাতন্ত্র দিবসের ক্যাম্পের অংশ হওয়ার সুযোগ পেয়েছিলাম৷ সেই ঘটনা আমায় পরবর্তী জীবনের জন্য অনুপ্রেরণা দিয়েছিল। এবার কর্তব্য পথে ২০২৪ সালের প্রজাতন্ত্র দিবসে আমার রেজিমেন্টকে আমি নেতৃত্ব দেব।’ একই দিনে কুচকাওয়াজে অংশ নিলেও আলাদা বিভাগের প্রতিনিধিত্ব করবেন তারা। এই ঘটনায় পরিবার-পরিজন থেকে আত্মীয়-স্বজন সকলেই খুশি।
ক্যাপ্টেন সুপ্রীতা আরও বলেন, ‘আমার স্বামী মাদ্রাজ রেজিমেন্টের, আর আমি সামরিক পুলিশ কন্টিনজেন্ট কর্পসের সদস্য। আমাদের ভিন্ন ভিন্ন জায়গায় মোতায়েন করা হয়। প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজ ও তার অনুশীলন আমাদের দুজনকে গত দুই মাস ধরে নয়াদিল্লিতে একসঙ্গে সময় কাটাবার সুযোগ করে দিয়েছে। এটা আমাদের দুজনের জন্যই অত্যন্ত গর্বের মুহূর্ত।’ ক্যাপ্টেন সুপ্রীতা কর্নাটকের মাইসুরুর বাসিন্দা। সেখানকার জেএসএস আইন কলেজ থেকে আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করে নাম লেখান সেনাবাহিনীতে। অন্যদিকে, মেজর ব্লেইজের বাড়ি তামিলনাড়ুর ওয়েলিংটনে। তিনি বেঙ্গালুরুর জৈন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলেন। তারা দুজনই অবশ্য এখন দিল্লির বাসিন্দা। এখন স্বামী-স্ত্রী’র একসঙ্গে কুচকাওয়াজ দেখার অপেক্ষায় পরিচিতরা।