অরুণাচলের তাওয়াং সেক্টরে চিন-ভারত সীমান্তে সংঘর্ষের উত্তাপ এবার সংসদে। এই প্রসঙ্গে আলোচনার দাবিতে বুধবার ওয়াক আউট করলেন কংগ্রেস ও তৃণমূল সাংসদরা। সংসদের শীতকালীন অধিবেশন চলাকালীন মঙ্গলবারও ওই সংঘর্ষের ইস্যুতে সংসদের হট্টগোল বাঁধে। সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবিতে বার বার দাবি তুলতে থাকেন বিরোধীরা। আর বুধবার তাওয়াং সেক্টরে চিনের আগ্রাসন নিয়ে আলোচনা না হওয়ায় এদিন দুপুরে লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করেন তৃণমূল সাংসদরা।
অন্যদিকে একই ইস্যুতে কংগ্রেসও এদিন লোকসভা থেকে ওয়াকআউট করে। কংগ্রেস সাংসদ অধীর রঞ্জন চৌধুরী ও সোনিয়া গান্ধী এই ওয়াক আউটে নেতৃত্ব দেন।
এদিকে এদিন লোকসভার অধিবেশন শুরুর পর থেকেই ভারত-চিন সংঘর্ষ ইস্য়ুকে কেন্দ্র করে লোকসভায় হইহট্টোগোল শুরু হয়ে যায়। সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবিতে সরব হন বিরোধীরা। বার বার এনিয়ে তারা সরব হন। কিন্তু তারপরেও এনিয়ে আলোচনা আর এগোয়নি। তারপরই বিরোধীরা একে একে লোকসভা থেকে ওয়াক আউট করা শুরু করেন।
এদিকে কংগ্রসের তরফে আগেই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল তারা চিন-ভারত সংঘর্ষ নিয়ে আলোচনার দাবি তুলবে। সেই আলোচনা না হলে তারা ওয়াক আউট করবেন। মল্লিকার্জুন খাড়গে এদিন এনিয়ে কংগ্রস নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকেও বসেছিলেন। তারপরই এদিন সংসদের দুই কক্ষ রাজ্যসভা ও লোকসভাতেও ভারত-চিন সংঘর্ষ ইস্যুতে হইহট্টগোল শুরু হয়ে যায়।
এদিকে মঙ্গলবার এই ইস্য়ুতে মুখ খুলেছিলেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তাওয়াং সংঘর্ষ নিয়ে তিনি রাজ্যসভা ও লোকসভা উভয় কক্ষেই বিবৃতি জারি করেছিলেন। তিনি জানিয়ে দিয়েছিলেন এই ঘটনায় কারোর মৃত্যু হয়নি।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, গত ৯ ডিসেম্বর পিএলএ ফৌজ প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা পার হওয়ার চেষ্টা করছিল। এরপর ভারতের বাহিনী চিনের এই অপচেষ্টাকে বলিষ্ঠতার সঙ্গে চ্য়ালেঞ্জ করে। এরপর দুপক্ষের মধ্যে মুখোমুখি হয়ে যায়। পিএলএর ফৌজকে আটকে দেয় ভারতীয় সেনা। এরপর তাদের পোস্টে ফেরৎ যেতে বাধ্য করে।
ইতিমধ্যেই মঙ্গলবার চিন বিবৃতি দিয়ে জানিয়ে দেয়, পরিস্থিতি স্থিতিশীল রয়েছে। এএফপি সূত্রে এমনটাই খবর।