অরুণ কুমার
২৩ জুন পটনায় ঐক্যবদ্ধ জোটের মিটিং হওয়ার কথা। আর তার আগে বিহারে বড় ধাক্কা। মঙ্গলবার নীতীশ কুমারের মন্ত্রিসভা ছেড়ে বেরিয়ে এলেন এসসিএসটি কল্যাণ দফতরের মন্ত্রী সন্তোষ সুমন। তিনি আবার বিহারের প্রাক্তন মুখ্য়মন্ত্রী জিতেন রাম মাঝির পুত্র।
তবে এই ইঙ্গিতটা গত কয়েকদিন ধরেই মিলছিল। এনিয়ে বিহারের অর্থ মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরী নানাভাবে জিতেন রাম মাঝিকে বুঝিয়ে বিষয়টি মিটমাট করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত সেসব কাজ করল না। তবে তার আগে প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করে বিষয়টির একটি সমাধানসূত্র বের করার চেষ্টা করেছিলেন বিহারের বর্তমান মুখ্য়মন্ত্রী। কিন্তু তখনও বিশেষ কিছু বের হয়নি।
এদিকে সূত্রের খবর, জিতেন রাম নাকি কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গেও দেখা করেছিলেন। আবার নীতীশ কুমারের সঙ্গ ছেড়ে দিয়েছিলেন এমনটাও নয়। কিন্তু সম্প্রতি বিরোধী ঐক্যের মিটিংয়ে ডাক পাননি তিনি।এরপরই তিনি জানিয়েছিলেন, আমি জানি না ওরা কী ভাবছেন!
এদিকে জিতেন রাম মাঝির পার্টি হিন্দুস্তানি আওয়াম মোর্চা লোকসভার টিকিটও চেয়েছিল। কিন্তু সেটা আদৌ জুটবে কি না তা নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। দলের একাংশের মতে, বর্তমানে যেটা ঘটছে সেটা দু একদিনের ব্যাপার নয়। গত কয়েক মাস ধরে এই ভিত্তিটা তৈরি হয়েছিল।
সন্তোষ সুমন সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন. ১০দিন ধরে দলের সঙ্গে আলোচনা করে তারপর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। দলকে বাঁচানোর জন্য় এটা করতে হয়েছে। তিনি জানিয়েছেন, আমাদের কাছে কোনও পথ খোলা ছিল না। কারণ জে-ডি-ইউ চাইছিল তাদের সঙ্গে আমাদের পার্টিকে মিশিয়ে দিতে। কিন্তু এটা সম্ভব ছিল না। কারণ পার্টিকে এভাবে ত্য়াগ করতে আমরা পারব না। সেকারণেই আমাদের বেরিয়ে আসতে হয়েছে।
তবে এবার প্রশ্ন উঠছে এই মহাজোট তাতে কি তাদের দল অংশ নেবে? সেই পরিপ্রেক্ষিতে সন্তোষ সুমন জানিয়েছেন, এটা আরজেডি, জেডিইউকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। আমি শুধু মন্ত্রিত্ব ত্যাগ করেছি। এটা আমাদের দল। আমরা অন্য দলের সঙ্গে নিজেদের মিলিয়ে দিতে পারি না। আমরা মহাজোটের সঙ্গে থাকছি।
তবে কি তিনি এবার বিজেপিতে যোগ দেবেন? এনিয়ে তিনি জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। আমরা বাবা বার বার বলেছিলেন নীতীশ কুমারের সঙ্গে তিনি থাকতে চান। কিন্তু তার মানে এটা নয় যে দলের অস্তিত্ব একেবারে শেষ করে দিয়ে।