সংসদের বাদল অধিবেশনে বহু প্রতিক্ষীত বিলগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল দিল্লি পরিষেবা বিল। আর সংসদে সেই বিল পাশ হওয়ার পর শনিবার সেই বিলে শিলমোহর পড়ল রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। এছাড়াও ডিজিটাল পার্সোনাল ডেটা প্রোটেকশন বিল সমেত একাধিক বিলে ছাড়পত্র পড়েছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। ফলে যে ৪ টি বিলে রাষ্ট্রপতি মুর্মুর অনুমোদন পড়ে গিয়েছে, সেগুলি এবার আইনের রূপ নেওয়ার পথে।
দিল্লি সরকারের অফিসারদের বদলি ও পোস্টিং সংক্রান্ত যে অধ্যাদেশ এসেছিল, তার জায়গা নিতে চলেছে এই দিল্লি পরিষেবা বিল সংক্রান্ত বিধি। গত ৩ অগস্ট যা লোকসভায় পাশ হয়েছে, আর সদ্য সোমবার যা রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে। বিলটি নিয়ে সংসদে বক্তব্য রাখার সময় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেছেন, এই নয়া বিলে থাকা বিধিগুলি কোনও মতেই এই সংক্রান্ত ইস্যুতে সুপ্রিম কোর্টের নিয়ম লঙ্ঘন করবে না। উল্লেখ্য, এই বিল যাতে সংসদে রোখা যায় তার ক্ষেত্রে INDIA জোটের সমস্ত দলকে একসঙ্গে নিয়ে পদক্ষেপ করে আম আদমি পার্টি। পার্টির প্রতিষ্ঠাতা তথা দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল প্রথম থেকেই এই বিল নিয়ে বিজেপির সঙ্গে সংঘাতের ময়দানে ছিলেন। বিলটি ধ্বনিভোটে লোকসভায় পাশ হওয়ার পর, রাজ্যসভায় ১৩১ ভোটের সমর্থন পেয়ে পাশ হয়। যেখানে বিপক্ষে পড়েছে ১০২ টি ভোট।
এরপরই আসে ডিজিটাল পার্সোনাল বিল। যে বিল গত সোমবার পাশ হয়েছে ধ্বনি ভোটে। এই বিলেও শিলমোহর এসেছে রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মুর। বুধবার বিলটি রাজ্যসভায় পাশ হয়। যদিও মণিপুর ইস্যুতে সেই সময় রাজ্যসভা ছিল বিরোধীশূন্য। এই বিলের প্রস্তাবনায় সাফ বলা হয়েছে, বর্ণিত বিধি লঙ্ঘনে কোনও ব্যক্তি বা সত্ত্বাকে ২৫০ কোটি টাকা পর্যন্ত জরিমানা করা হতে পারে। কোনও ব্যক্তি বা অস্তিত্বের ডিজিটাল ব্যক্তিগত ডেটার অপব্যবহার বা তার যোগ্য নিরাপত্তা নিয়ে এই বিলের প্রস্তাবনা কথা বলেছে। এছাড়াও রাষ্ট্রপতি মুর্মর হাত ধরে আরও দুটি বিল পেয়েছে ছাড়পত্র। সেগুলি হল জনবিশ্বাস বিল ও রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথস বিল। দেশে যাতে স্বস্তিতে বাণিজ্যিক কর্মকাণ্ড চলে সেদিকে তাকিয়ে এই জনবিশ্বাস বিল আনা হয়। বিলের প্রস্তাবনা বলেছে, ছোটখাটো অপরাধ করলে এবার থেকে আর জেলে যেতে হবে না অপরাধীকে। যদিও অপরাধ করার মাশুল ঠিকই গুনতে হবে তাকে। সেই ক্ষেত্রে জরিমানা করা হবে সেই অপরাধীকে। দেশে যে পরিমাণ মামলা জমে রয়েছে, তার চাপ সামলানো যাবে এই নয়া বিল কার্যকর হলে। এছাড়াও জাতীয়স্তরে ও রাজ্যস্তরে জন্ম ও মৃত্যুর ক্ষেত্রে পরিসংখ্যানকে নজরে রাখতে রেজিস্ট্রেশন অফ বার্থ অ্যান্ড ডেথস বিল পাশ হয় সংসদে। সেই বিলেও এসেছে রাষ্ট্রপতির অনুমোদন।