রাজস্থানে কংগ্রেসের অন্দরে দ্বন্দ্ব মেটাতে নানা চেষ্টা হচ্ছিল। অবশেষে বৃহস্পতিবার দিল্লিতে কংগ্রেসের সদর দফতরে এনিয়ে দীর্ঘ মিটিং হয়। আর সেই মিটিংয়ে আপাতত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে এবারের ভোটে মুখ্য়মন্ত্রীর মুখ হিসাবে কাউকে তুলে ধরা হবে না। মুখ্যমন্ত্রীর মুখ হিসাবে কাউকে হাজির না করিয়েই ঐক্যবদ্ধভাবে লড়াই করবে কংগ্রেস।
অন্যদিকে সিদ্ধান্ত হয়েছে সেপ্টেম্বরের মধ্য়েই রাজস্থানে কংগ্রেসের কে প্রার্থী হচ্ছেন তা ঘোষণা করা হবে। তবে শচিন পাইলটের ভূমিকা ঠিক কী হবে তা নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি। আসলে রাজস্থানে মুখ্যমন্ত্রী অশোক গেহলটের সঙ্গে শচিনের দ্বন্দ্ব। আর সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে নানা দাওয়াই প্রয়োগ করা হয়েছে। কিন্তু কোনওটাই ঠিক কাজ করেনি।
তবে এদিনের মিটিংয়ে আগামী ভোটে ক্ষমতা ধরে রাখার জন্য় ঠিক কী ধরনের কৌশল প্রয়োগ করা হবে তা নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা হয়েছে।
এদিন কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে ও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী উপস্থিত ছিলেন। সংগঠনের নানা দিক নিয়ে তারা আলোচনা করেন। কীভাবে ভোটের আগে সংগঠনকে গোছানো যায় তা নিয়েও কথা হয়েছে।
মিটিংয়ের পরে কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কে সি বেনুগোপালন জানিয়েছেন, ভোটের প্রস্তুতি নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার কী করতে পেরেছে তা একেবারে মানুষের দরজায় গিয়ে বলবেন নেতা মন্ত্রী, বিধায়করা।
সরকার ও দল সমণ্বয় রেখে কাজ করবে।
তিনি জানিয়েছেন, মুখ্যমন্ত্রী সহ ২৯জন নেতা যোগ দিয়েছিলেন। সকলেরই একটাই কথা একতাবদ্ধভাবে লড়তে হবে। জেতার প্রবণতা কতটা তার উপর নির্ভর করে প্রার্থী বাছাই করা হবে। সেপ্টেম্বরের প্রথম সপ্তাহে প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করা হবে। তিনি জানিয়েছেন, নেতাদের শৃঙ্খলা মেনে চলতে হবে। না হলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
খাড়গে বলেন, প্রতি পাঁচ অন্তর সরকার পরিবর্তনে ধারা এবার বদল হবে। এদিকে অনলাইনে এই মিটিংয়ে যোগ দেন মুখ্যমন্ত্রী। কারণ পায়ে ব্যাথার জন্য তিনি আসতে পারেননি।