সমলিঙ্গের সম্পর্ক কোনও আর্বান এলিটিস্ট ধারনা নয়। যেরকম দাবি করছে কেন্দ্রীয় সরকার। সমলিঙ্গের বিয়েকে আইনের আওতায় আসা নিয়ে পিটিশনের শুনানি চলাকালীন বুধবার সুপ্রিম কোর্ট এনিয়ে মন্তব্য করেছেন। দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড় জানিয়েছেন, শহরাঞ্চলে বসবাসকারী অনেকেই তাঁদের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এসে কথা বলতে শুরু করেছেন।তাঁদের লিঙ্গ সংক্রান্ত পরিচিতিকে তারা সামনে আনছেন। তার মানে এটা নয় যে সরকার এনিয়ে কোনও তথ্য দেখাতে পেরেছে। তারা দেখাতে পারেননি যে সমলিঙ্গের বিয়ে কেবলমাত্র শহরাঞ্চলে এলিট ক্লাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, কোনও মানুষের চারিত্রিকগত বিশেষত্বের উপর নির্ভর করে রাষ্ট্র কাউকে শ্রেণিবিভেদ করতে চায় না। কারণ এতে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।
সেই সঙ্গেই তিনি জানিয়েছেন, কোনও মানুষের চারিত্রিকগত বিশেষত্বের উপর নির্ভর করে রাষ্ট্র কাউকে শ্রেণিবিভেদ করতে চায় না। কারণ এতে সরকারের কোনও নিয়ন্ত্রণ নেই।যদি এটা কারোর মানসিক বৈশিষ্ট্য হয়ে থাকে তবে কেবলমাত্র শহরের এলিট ক্লাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ এটা বলা যেতে পারে না। কিন্তু শহরাঞ্চলে এটা বলা হচ্ছে কারণ সেখানে অনেকেই তাদের ঘেরাটোপ থেকে বেরিয়ে এসে মুখ খুলতে শুরু করেছেন। আর সমলিঙ্গের বিয়ের বিষয়টি কেবলমাত্র শহরাঞ্চলের এলিট ক্লাসের মধ্যে সীমাবদ্ধ সেই সমক্রান্ত কোনও তথ্য সরকার দেখাতে পারেনি।
এদিকে সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল এই সমলিঙ্গের বিবাহ বিষয়টি পুরো শহুরে ব্যাপার। শহরের এলিট ক্লাসের ব্যাপার এটি। সরকার হলফনামায় জানিয়েছিল, আবেদনকারীর শহুরে এলিট মনোভাব রয়েছে। আদালতকে অনেকটা বিস্তীর্ণ সমাজের সব স্তরকে দেখতে হবে।
এদিকে সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ সমলিঙ্গের বিয়ে নিয়ে একাধিক আবেদনের শুনানি শুনতে রাজি হয়েছে। এই বেঞ্চে দেশের প্রধান বিচারপতি ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি সঞ্জয় কিষান কউল, এস রবীন্দ্র ভাট, পিএস নরসিংহ, হিমা কোহলি রয়েছেন।
আবেদনে বলা হয়েছে সমলিঙ্গের বিয়েকে স্বীকৃতি দিতে হবে। যে কোনও ব্যক্তি তার ইচ্ছে মতো বিয়ে করতেই পারেন। তবে কেন্দ্রীয় সরকার এর বিরোধিতা করেছে।
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup