টিসিএসের পরে এবার টাটা স্টিল। এর আগে অনিয়মের অভিযোগে টিসিএস ৬জন কর্মীকে কাজ থেকে বরখাস্ত করেছিল। এবার টাটা স্টিল তাদের ৩৫ জন কর্মীকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করল। কোম্পানির নিয়ম কানুন না মানার জন্যই তাদের চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অন্যদিকে সূত্রের খবর, আরও তিনজনের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থার অভিযোগ উঠেছে। তাদের বিরুদ্ধে এবার কোম্পানি কড়া ব্যবস্থা নেবে। এদিকে এর আগে টিসিএস কর্মী নিয়োগের ক্ষেত্রে ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে তাদের ৬জন কর্মচারীকে বিতাড়িত করেছিল। মূলত শাস্তিমূলক পদক্ষেপ হিসাবে চাকরি গিয়েছিল তাদের। এবার টাটা স্টিলের সব মিলিয়ে ৩৮জন কর্মীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে খবর। তার মধ্য়ে ৩৫জনের বিরুদ্ধে নীতিভ্রষ্ট হওয়ার অভিযোগ।
সূত্রের খবর, একাধিক ক্ষেত্রে কোম্পানি কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে। বিভিন্ন সূত্র মারফৎ তাদের কাছে কর্মচারীদের অনিয়মের এই খবর এসেছিল। তারপরই নড়েচড়ে বসে কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষকে অবমাননা করা, কোম্পানির স্বার্থ না দেখে শুধু নিজের স্বার্থ দেখে অনৈতিক কাজ করা, ম্যানেজমেন্টের যে চুক্তি রয়েছে সেটা অবমাননা করার অভিযোগ ওঠে তাদের বিরুদ্ধে। এরপরই এনিয়ে তদন্তে নামে কর্তৃপক্ষ। তারপরই তাদের কাজ থেকে বসিয়ে দেওয়া হল।
এদিকে সূত্রের খবর, গত আর্থিক বছরে সব মিলিয়ে টাটার কাছে ৮৭৫টি অভিযোগ এসেছিল। সেসব খতিয়ে দেখেছ কর্তৃপক্ষ। কর্তৃপক্ষের দাবি কোম্পানির মধ্য়ে একটা খোলামেলা পরিবেশ রয়েছে। কর্মচারীরা তাঁদের সমস্যার কথা জানাতে পারেন। মূলত দুর্নীতি, অনিয়মের বিরুদ্ধে কোম্পানি কতটা জিরো টলারেন্স নীতি নিচ্ছে তা আরও একবার সামনে এল।
এর আগে টিসিএসের ৬জন কর্মীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ এসেছিল। প্রায় ১০০ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগ ছিল সেটি। সেই সময় জানা গিয়েছিল নিয়োগের ক্ষেত্রে কোথাও অনিয়ম হচ্ছে বলে প্রাথমিকভাবে খবর এসেছিল টাটার কাছে। এরপরই এনিয়ে তদন্ত শুরু করে সংস্থা। কিছু ক্ষেত্রে সহযোগী সংস্থার মাধ্যমে কর্মী নেয় টিসিএস। আর সেই কর্মী নেওয়ার ক্ষেত্রেই অনিয়ম হয়েছে বলে খবর। ঘুষ নিয়ে কর্মী নিয়োগ করার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে অভিযোগ। তার জেরেই কর্মীদের বিরুদ্ধে কঠোরতম ব্যবস্থা।
ফের টাটা বুঝিয়ে দিয়েছিল নীতিগত ক্ষেত্রে কতটা জিরো টলারেন্স নীতিকে বাস্তবে প্রয়োগ করে টিসিএস। সেটাই বাস্তবের জমিতে করে দেখিয়েছিল টিসিএস। এবার সেই একই পথে নজির তৈরি হল টাটা স্টিল।