কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন ঘিরে ব্যাপকভাবে চড়ছে রাজনৈতিক পারদ। বিভিন্ন পার্টি তাদের রাজনৈতিক ইস্তেহার প্রকাশ করছে। তারই মাঝে সদ্য কংগ্রেসের রাজনৈতিক ইস্তেহার প্রকাশ হয়েছে। সেখানে বলা হয়েছে, যদি কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার আসে, তাহলে বজরং দলের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করা হবে। এরপরই বিষয়টি নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসে ওঠে বিশ্বহিন্দু পরিষদ।
১০ মে রয়েছে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে সদ্য কংগ্রেস প্রকাশ করেছে তাদের দলীয় ইস্তেহার। সেই ইস্তেহারেই উল্লেখ রয়েছে যে, যদি কর্ণাটকে কংগ্রেস সরকার আসে, তাহলে বজরং দলকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হবে। এছাড়াও কংগ্রেস জানিয়েছে, বজরংদল, পিএএফআইয়ের মতো সংগঠনের বিরুদ্ধে তারা কড়া পদক্ষেপ নেবে। এমনকি এই সংগঠনকে নিষিদ্ধ করার পথেও কংগ্রেস হাঁটবে বলে জানিয়েছে। সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় যে সমস্ত সংগঠন উস্কানি দেবে, তথা হিংসা ছড়াবে, সেই সমস্ত সংগঠনের বিরুদ্ধে কংগ্রেস কড়া হবে বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ইস্তেহারে। এপরই বিশ্বহিন্দু পরিষদ দাবি করে, কংগ্রেস , বজরং দল ও পিএফআউকে একই সারিতে বসিয়ে তুলনা টেনেছে। যে বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বিশ্বহিন্দু পরিষদ জানিয়েছে, তারা কংগ্রেসের এই ভোট- প্রতিশ্রুতিকে ‘চ্যালেঞ্জ’ হিসাবে দেখছে, এবং এর জবাব ‘গণতান্ত্রিক’ পদ্ধতিতে দেওয়া হবে বলেও দাবি করেছে বিশ্বহিন্দু পরিষদ।
( পাক মন্ত্রী বিলাওয়ালের বোন ফাতিমা বিয়ের পর দিলেন শিব মন্দিরে পুজো! শোরগোল শুরু)
( বিয়ের গুঞ্জনের মাঝে বড় বিপাকে রাঘব চাড্ডা! আবগারী দুর্নীতি মামলায় উঠে এল নাম)
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের তরফে সুরেন্দ্র জৈন বলেন,' কর্ণাটক ভোটের ইস্তেহার প্রকাশের সময়, যেভাবে কংগ্রেস বজরং দল, যা একটি জাতীয়তাবাদী সংগঠন, তার সঙ্গে পিএফআইয়ের মতো দেশ বিরোধী, সন্ত্রাসবাদী, নিষিদ্ধ সংগঠনের তুলনা টেনেছে, তা অত্যন্ত দুঃখজনক।' তিনি বলেন, বজরং দলের প্রতিটি সদস্য দেশের সেবা করতে ব্যস্ত। তাঁরা দেশের প্রতি ‘উৎসর্গ’ করেছেন নিজেদের, সেখানে গোটা দেশ ও বিশ্ব জানে পিএফআই-এর কর্মকাণ্ডের কথা, বলে উল্লেখ করেন সত্যেন্দ্র জৈন। তিনি বলেন,' আপনি মানুষকে বোকা বানাতে পারবেন না সনিয়া গান্ধী, যেভাবে আপনি বজরং দলের সম্মানহানি করেছেন, তা দেশের মানুষ মেনে নেবে না। প্রতিটি বজরংদল কর্মী এটাকে চ্যালেঞ্জ হিসাবে গ্রহণ করছে। '
এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup