এক ভয়াবহ দুর্ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে তেলাঙ্গানায়। তেলাঙ্গানার হাকিমপেট এয়ারফোর্স স্টেশনে একটি ট্রেনার এয়ারক্রাফ্ট সারাই করছিলেন ওক কর্পোরাল পদমর্যাদার অফিসার। আচমকা সেই এয়ারক্রাফ্টের চালকের আসনটি বেরিয়ে আসে। তখনই তিনি মাথায় আঘাত পান বলে খবর। এর জেরেই মৃত্যু হয় বায়ুসেনার অফিসার হরবীর চৌধুরীর। ঘটনায় স্বভাবতই ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য।
ইউ ৭৩৬ কিরন এয়ারক্রাফ্টের সারাই করছিলেন কর্পোরাল অফিসার হরবীর চৌধুরী। সেই সময়ই আচমকা বিমানের সিটটি ছিটকে বেরিয়ে যায়। তার জেরেই মাথায় তখনই আঘাত পান হরবীর চৌধুরী। তবে সেই আঘাতকে সারানোর সময় না দিয়েই তিনি মুহূর্তে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। জানা গিয়েছে, মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়ে তাঁর মৃত্যু হয়। ঘটনাটি ঘয়েছে তেলাঙ্গানার হাকিমপেট বায়ুসেনা ঘাঁটিতে। শনিবারের এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। এদিকে, এই মৃত্যুর ঘটনায় স্থানীয় পুলিশ একটি নানলা দায়ের করেছে। এছাড়াও ঘটনার তদন্তে নেমেছে পুলিশ। এদিকে, তেলাঙ্গানার আলওয়াল পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে বায়ুসেনার অফিসারদের বিষয়টি নিয়ে সতর্ক করে। এরপর বায়ুসেনার তরফে ঘটনাস্থলে পৌঁছন সদস্যরা। তাঁরা মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠান।
উল্লেখ্য, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে, তেলাঙ্গানার মেদাকে একটি ট্রেনার এয়ারক্রাফ্ট ভেঙে পড়ে ২ পাইলটের মৃত্যু হয়। ঘটনার তদন্তে নামে সেনা। জানা যায়, সেদিন হায়দরাবাদ থেকে রোজের রুটিন মেনেই উড়েছিল বিমানটি। তবে মাঝে বিপত্তি দেখা যায়। ভেঙে পড়ে বিমান। দুই বিমানচালকই ভয়াবহ আঘাতের শিকার হন। তার জেরেই তাঁরা মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়েন। সেদিনের ঘটনার শোক প্রকাশ করেছিলেন দেশের প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। তিনি একটি টুইটে লেখেন, ‘হায়দরাবাদের কাছে এই দুর্ঘটনায় মর্মাহত। এটা খুবই দুঃখজনক যে দুই পাইলট প্রাণ হারিয়েছেন। এই দুঃসময়ে শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আমার সমবেদনা।’ বায়ুসেনার তরফে জানানো হয়েছিল,' একটি Pilatus PC 7 Mk II বিমান আজ সকালে AFA, হায়দরাবাদ থেকে একটি নিয়মিত প্রশিক্ষণের সময় দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়েছে ৷' Pilatus PC 7 Mk II এয়ারক্রাফ্ট হল একটি একক-ইঞ্জিন বিমান, যার উপর IAF পাইলটরা প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করে। দুর্ঘটনার কারণ জানতে আদালতের তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে বিমান বাহিনী।