শেষ ৪ বছরে এই নিয়ে পঞ্চমবার নির্বাচনের সাক্ষী হতে চলেছে ইজরায়েল। যে আশঙ্কা করা হচ্ছিল, সেই আশঙ্কা সত্যি করেই ইজরায়েলের সংসদ 'বিলীন' করা হয়। সেদেশের বিদেশমন্ত্রী ইয়ের লেপিড এবার সেদেশের ‘কেয়ার টেকার’ প্রধানমন্ত্রী হিসাবে মসনদে বসতে চলেছেন।
রাজনৈতির সংকটের মেঘ ইজারেয়েলের মাথায় যে ঘন হতে শুরু করেছে তা বলাই বাহুল্য! এককালে ইয়ের লেপিড ছিলেন সেদেশের রাজনৈতিক চ্যাট শোয়ের সঞ্চালক। আর সেই টিভি সঞ্চালকই এবার অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ইজরায়েলের গদিতে বসছেন। এদিকে, এক বছর ধরে সেদেশে প্রধানমন্ত্রী থাকা নাফতালি বেনেটের সময়কাল শেষ হয় সংসদ ‘ডিসলভ’ হতেই। সেদেশে ৮ টি দলের জোটের সরকার সমাপ্তির দিকে যেতেই ইজরায়েলে ফের একবার দীর্ঘ সময়ের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী বেনজামিন নেতানইয়াহুর ফিরে আসার জল্পনা শুরু হয়েছে।
উল্লেখ্য, বেনেটের সমর্থনে থাকা জোট কার্যত সুতোর ওপর ঝুলছিল অনেকদিনই। জোটের নেতাদের অন্তর্বর্তী কলহ বিবাদ ঘিরে তা পঙ্গু হতে শুরু করেছিল অনেকদিন ধরেই। ফলে সংসদ ‘ডিসলভ’ হওয়া ছিল অবিস্যম্ভাবী। আপাতত জানা যাচ্ছে, অক্টোবর থেকে নভেম্বরের মধ্যে ইজরায়েলে ফের একবার নির্বাচন সংগঠিত হবে। এর আগে নেতানইয়াহুর ১২ বছরের শাসনকে ভেঙে ২০২১ সালে আসে বেনেটের সরকার। অতি ক্ষীণ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে তৈরি হয় সরকার।
আপাতত সেদেশের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নেতানইয়াহুর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ আছে। যদিও তা স্বীকার করতে চাননি তিনি। এদিকে, মনে করা হচ্ছে আসন্ন নির্বাচনে ইজরায়েলে নেতানইয়াহুকে চ্যালেঞ্জে ফেলতে পারেন লেপিডের নেতৃত্বাধীন রাজনৈতিক শক্তি। ফলে সেদেশের ভবিষ্যৎ কোনদিকে যায়, সেদিকে তাকিয়ে গোটা দুনিয়া।