নিয়মে বদল যে আসছে, সেটা বোঝা গিয়েছিল আগেই। তবে তড়িঘড়ি সেটা কার্যকর হবে, এমনটা ভাবা যায়নি আগে থেকে।
ক'দিন আগেই শ্যাম থাপার নেতৃত্বাধীন অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনের টেকনিক্যাল কমিটি প্রস্তাব দিয়েছিল আই লিগ ও আইএএসএলে বিদেশি ফুটবলারের সংখ্যা কমানোর। তবে এই প্রস্তাব ২০২১-২২ মরশুম থেকে কার্যকর করার কথা ছিল। বুধবার ফেডারেশনের এক্সিকিউটিভ কমিটির বৈঠকে টেকনিক্যাল কমিটির প্রস্তাব সর্বসম্মতিক্রমে পাস হয়ে যায়। এবং স্থির হয় যে, আসন্ন মরশুম থেকেই আই লিগে কার্যকর হবে এই নিয়ম। যদিও আইএসএলে এই প্রস্তাব কার্যকর হতে পারে ২০২১-২২ মরশুম থেকে।
AIFF-এর টেকনিক্যাল কমিটি ভারতের সব লিগে প্রতি দলে ৪ জন বিদেশি ফুটবলার নেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছে, যাঁদের মধ্যে একজনের এশিয়া (AFC) কোটার ফুটবলার হওয়া বাধ্যতামূলক। প্রাথমিকভাবে লিগে বিদেশি ফুটবলার কমানোর প্রস্তাব দেন জাতীয় কোচ স্টিমাচ। লিগের দলগুলির বিদেশি স্ট্রাইকার ব্যবহার করার প্রবণতার জন্যই ভারতীয় দলে আন্তর্জাতিক মানের স্ট্রাইকার উঠে আসছে না। এমনটাই মত স্টিমাচের।
এখন আই লিগে ৬ জন বিদেশি ফুটবলার নেওয়া যায়। একসঙ্গে খেলা যায় ৫ জনকে। আইএসএলে আপাতত ৭ জন বিদেশি দলে নেওয়া যায় এবং ৫ জনকে একসঙ্গে মাঠে নামানো যায়।
বুধবার AIFF-এর কার্যকরী সমিতির বৈঠকে অনুমোদিত হয় চার বিদেশির প্রস্তাব। ইস্টবেঙ্গল-সহ আই লিগের সব দলই এই প্রস্তাবে সায় দেয়। যার অর্থ, আগামী মরশুম থেকেই মাত্র চার জন বিদেশি ফুটবলার দলে রাখতে পারবে আই লিগ দলগুলি, যাঁদের মধ্যে একজন থাকবেন এশিয়া কোটায়। ম্যাচে তিন জন বিদেশিকে একসঙ্গে খেলানো যাবে।
আইএসএলের ক্ষেত্রে অবশ্য বিষয়টি এখনও চূড়ান্ত হয়নি। FSDL আইএসএল ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলির সঙ্গে আলোচনা চালাবে আগামী কয়েক মাসে। সেখানেই স্থির হবে বিদেশি ফুটবলারের কোটার বিষয়টি। বেশিরভাগ আইএসএল দল বিদেশি ফুটবলারদের সঙ্গে দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি সেরে রেখেছে। তাই আগামী মরশুমেই আইএসএলে নিয়ম বদল সম্ভব নয়।
রোহিতদের প্রস্তুতির রোজনামচা, পাল্লা ভারি কোন দলের, ক্রিকেট বিশ্বকাপের বিস্তারিত কভারেজ, সঙ্গে প্রতিটি ম্যাচের লাইভ স্কোরকার্ড । দুই প্রধানের টাটকা খবর, ছেত্রীরা কী করল, মেসি থেকে মোরিনহো, ফুটবলের সব আপডেট পড়ুন এখানে।