Madhyamik result 2024: মাধ্যমিকে হুবহু এক নম্বর যমজ ভাইয়ের! জোড়া সাফল্য রামপুরহাটের স্কুলে

তারা দুজনেই রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের কাষ্ঠগড়া রামকৃষ্ণ নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে। মাধ্যমিকে এই স্কুল থেকে প্রথম হয়েছে যমজ দুই ভাই। তাদের সাফল্যে খুশি পরিবারসহ স্কুলের শিক্ষকরা। তাদের বাবা মোজেশ্বর হোসেন পেশায় স্কুল শিক্ষক।

মাধ্যমিকে হুবহু এক নম্বর যমজ ভাইয়ের! জোড়া সাফল্য রামপুরহাটের স্কুলে

দেখতে হুবহু এক। চোখ, মুখ, শরীরের গঠনও এক। আসলে ওরা হল যমজ। জন্মের ব্যবধান মাত্র কয়েক মিনিটের হলেও ছোট থেকেই একসঙ্গে খেলাধুলা এবং পড়াশোনা করে বড় হয়েছে। আর মাধ্যমিকের পরীক্ষাতেও অদ্ভুতভাবে একই ফল করল যমজ ভাই। গত বৃহস্পতিবার ২০২৪ সালের মাধ্যমিকের ফল প্রকাশ হয়েছে। তাতে দেখা গিয়েছে, দুজনেই পরীক্ষায় একই নম্বর পেয়েছে। শুধু তাই নয়, অদ্ভুতভাবে বেশ কয়েকটি বিষয়েও তারা একই নম্বর পেয়েছে অর্থাৎ যমজ ভাইয়ের মতো পরীক্ষার ফলও যেন যমজ। এই দুই ভাইয়ের নাম হল মহম্মদ মোক্তার নাবিল এবং মহম্মদ মোক্তার জাহিন। তারা রামপুরহাটের বাসিন্দা।

পরিবার জানিয়েছে, তারা দুজনেই রামপুরহাট ১ নম্বর ব্লকের কাষ্ঠগড়া রামকৃষ্ণ নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেছে। মাধ্যমিকে এই স্কুল থেকে প্রথম হয়েছে যমজ দুই ভাই। তাদের সাফল্যে খুশি পরিবারসহ স্কুলের শিক্ষকরা। তাদের বাবা মোজেশ্বর হোসেন পেশায় স্কুল শিক্ষক। তিনি জানান, ঈশ্বর যেমন তাদের সমান করে পাঠিয়েছেন তেমনিই নম্বরও সমান হয়েছে। 

প্রসঙ্গত, শুধুমাত্র মোট নম্বরই এক হয়নি যমজ দুই ভাইয়ের। অদ্ভুতভাবে দুজনেই বাংলা, ইংরেজি, জীবন বিজ্ঞান এবং ভৌত বিজ্ঞানেও একই নম্বর পেয়েছে। তারা বাংলায় পেয়েছে ৯৮, ইংরেজিতে পেয়েছে ৯২ এবং জীবন বিজ্ঞানে ৯৭ নম্বর পেয়েছে। এমন নম্বর পাওয়ায় খুশি দুই ভাই। তবে তারা খুব বেশি পড়াশোনা করত না বলেই দাবি করেছে। নাবিলের কথায়, ‘আমরা খুব বেশি পড়াশোনা করতাম না। বাকিরা যেভাবে পড়াশোনা করে সেভাবেই করতাম। তবে যেটুকু পড়তাম মন দিয়ে পড়তাম।’ তাঁর কথায়, ‘আরও একটু বেশি নম্বর পাব ভেবেছিলাম। তবে খুব ভালো লাগছে।’

দুই ভাইয়ের মা নবীনা হোসেন জানান, দুজনেই পড়াশোনা করত। একসঙ্গে টিউশনে যেত। যখনই তাদের পড়তে বলা হত তখনই তারা পড়তে বসত। ওদের যমজ ভাবনার মতোই নম্বরও এক হয়েছে। তিনি জানান, দুই ছেলের সাফল্যে তিনি খুব খুশি। স্কুল কর্তৃপক্ষও তাদের সাফল্যে খুশি। কাষ্ঠগড়া রামকৃষ্ণ নেতাজি উচ্চ বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কৌশিক চৌধুরির কথায় এটা তাদের স্কুলের জন্য জোড়া প্রাপ্তি। দুজনেই খুব ভালো ছাত্র বলে তিনি জানান। তবে এবার থেকে দুই ভাইয়ের পথ আলাদা হয়ে যাবে। কারণ একজন হতে চাই ডাক্তার আর একজনের চোখে ইঞ্জিনিয়ার হওয়ার স্বপ্ন।