বাড়ির ছেলে অথবা, মেয়ে। রাতদিন দুলে দুলে পড়েই যাচ্ছে। কখনও রাত দিন এক করে পড়ছে। মানে পড়াতে কোনও খামতি রাখছে, তেমনটা নয়। কিন্তু পরীক্ষার খাতায় যেন তার বিশেষ কোনও প্রতিফলন হচ্ছে না। তবে এবার তাদের জন্য়ই বিশেষ ধরনের টিপস দিয়েছে মাধ্যমিকে প্রথম স্থানাধিকারী চন্দ্রচূড় সেন।
চন্দ্রচূড় সেন। মাধ্যমিকে প্রথম স্থান অধিকার করেছে সে। কোচবিহার রামভোলা হাইস্কুলের ছাত্র। কোচবিহার শহরেই রয়েছে এই স্কুল। সেই স্কুলেরই ছাত্র চন্দ্রচূড়। তার সাফল্যে গর্বিত গোটা কোচবিহার। তার প্রাপ্ত নম্বর ৬৯৩। কিন্তু কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিল সে?
প্রথম স্থানাধিকারী সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছে, করোনা অতিমারির সাক্ষী থেকেছি আমরা। সেই সময় স্কুলমুখী হওয়ার প্রবণতা কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবে ধীরে ধীরে পড়ুয়ারা স্কুলে গিয়েছে। তবে আমি বলতে চাই এই সাফল্যের পেছনে সকলেরই ভূমিকা রয়েছে। আমি সকলের সঙ্গে সেই সাফল্য ভাগ করে নিতে চাই।
যারা এবার মাধ্য়মিক দেবে তাদের জন্য় কী বলবে?
প্রথম স্থানাধিকারী জানিয়েছে, যারা এবার মাধ্য়মিক দেবে তাদের বলব শুধু মুখস্থ করলে চলবে না। ধারণাটা ঠিকঠাক রাখতে হবে। আমাদের সময় প্রশ্নের যে ধরণটা সেটা দেখলে বোঝা যাবে যে অনেক কিছু কনসেপ্ট বেসড প্রশ্ন ছিল। শুধু পাঠ্যপুস্তক পড়লে চলবে না। রেফারেন্স পড়লে ভালো হয়। সহায়িকা বই ফলো করতে হবে। আমি সেটা করেছি। আর লিখে লিখে অভ্য়াস করতে হবে। এটা আমি করেছি। ভালো ফল পেয়েছি। কৌতুহল তোমাকে শেখাবে। সেকারণে জ্ঞান পিপাসাটা তোমাকে বাড়াতে হবে। আমি মাধ্য়মিকের আগে কিছু মকটেস্ট দিয়েছিলাম।
সেই সঙ্গেই সে জানিয়েছে, ম্যারাথন লার্নিংটা ঠিক কাজে আসে না। মানে একটানা পড়ে যাওয়া। সেই জায়গায় যদি আমি পড়ার মাঝে কিছুটা ছেদ দিই সেটা কাজে দেয়। মাঝেমধ্য়ে ব্রেক দেওয়াটা ভালো। মানে ৪০ মিনিট পড়া। তারপর একটু ব্রেক।
‘আমার একটা আত্মপ্রত্যয় ছিল। তবে এতটা ভালো হবে সেটা জানিনি। সময়ানুবর্তিতা ছিল। ইচ্ছে মতো পড়তাম। তবে বাঁধাধরা রুটিন করে কিছু করিনি। তবে পড়াশোনটা করেছি। মেডিকেল লাইনে যেতে চাই। মূল্যায়নের পরে প্রাপ্ত নম্বর কেবলমাত্র আমার একার দ্বারা সম্ভব নয়। এর পেছনে আমার বাবা মা, স্কুল শিক্ষক, গৃহ শিক্ষক। আত্মীয়স্বজন সকলের একটা অবদান থাকে। নিরলস একটা পরিশ্রম করে যেতে হবে।’