মনোনয়ন বাতিলের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন দেবাশিস ধর। তিনি বিজেপি প্রার্থী হিসাবে বীরভূম লোকসভা কেন্দ্র থেকে মনোনয়ন জমা দিয়েছিলেন প্রাক্তন এই আইপিএস। তাঁর মামলা শুনবে সুপ্রিম কোর্ট।
তৃণমূলের শতাব্দী রায়ের বিপরীতে তাঁকে প্রার্থী করে বিজেপি। তাঁর মনোনয়ন জমা দেওয়ার পর দেখা যায় গত ২৫ এপ্রিল দেবতনু ভট্টাচার্য নামে এক বিজেপি নেতা বীরভূমের জেলাশাসকের দফতরে গিয়ে মনোনয়ন জমা দেন।
ঠিক তার পর দিন দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিলের খবর প্রকাশ্যে আসে। কমিশন জানায়, ‘নো ডিউ সার্টিফিকেট’ না দেওয়ায় দেবাশিসের প্রার্থী পদ বাতিল করা হয়েছে।
আর পড়ুন। কেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল? নাম না করে ব্যাখ্যা দিলেন মমতা
মনোনয়ন বাতিলের জন্য রাজ্য সরকারের দিকে আঙুল তুলেছিল বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের অভিযোগ ছিল, ইস্তফা দেওয়ার পর আইপিএস প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে ছাড়পত্র দেওয়া হলেও রাজ্য সরকার দেবাশিস ধরকে ছাড়পত্র দেয়নি।
যদিও রবিবার নাম না করে দেবাশিস ধরের মনোনয়ন বাতিল হয়ে যাওয়ার কারণ হিসাবে বলেন, ‘দেখলেন একজন আইপিএস পদত্যাগপত্র গৃহিত হলেও, আর এক জন প্রার্থী হতে পারলেন না ত্রুটি ছিল বলে। প্রসূন এমন একজন মানুষ যে পুলিশের সব মহলে কাজ করেছে। কিন্তু ওর নামে কোনও দিন কোনও মানুষ মারার বদনাম ছিল না। ওর নামে কোনও দিন কোনও অভিযোগ ছিল না। ওর নামে কোনওদিন গুলি চালানোর অভিযোগ ছিল না। ও চিরকাল দৌড়ে গিয়েছে।’
আরও পড়ুন। ভোটের সময়তে সন্দেশখালি কাণ্ডে CBI তদন্ত জারি থাকবে, জানিয়ে দিল সুপ্রিম কোর্ট
মনোনয়ন বাতিলের পরই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ইঙ্গিত আগেই দিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়। তিনি বলেন, 'আমাদের সব পদেই প্রার্থী নরেন্দ্র মোদী। তবে আমরা কোর্টে যাব, রিটার্নিং অফিসারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করব।'
প্রাক্তন আইপিএসের আইনজীবী জানিয়েছেন, যেহেতু সামনে ভোট তাই তাঁরা মামলার দ্রুত শুনানির আর্জি জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন। মমতাকে 'ওই মেয়েছেলে' বলে বিতর্কে দিলীপ ঘোষ, 'জবাব দেবে বাংলা', পালটা তোপ TMC-র